লিবিয়ায় বন্যায় মৃতের তালিকায় ৬ বাংলাদেশি, মোট মৃত্যু ৬হাজার ছাড়িয়েছে

আন্তর্জাতিক
লিবিয়ায় বন্যা  © সংগৃৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে নজিরবিহীন বন্যায় লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর দার্না পরিণত হয়েছে লাশের নগরীতে। প্রাণহানি বেড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এপর্যন্ত ছয় বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্তত আট হাজার মানুষের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া এক হাজার মানুষের মধ্যে ছয় বাংলাদেশি রয়েছেন। 

নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- রাজবাড়ীর শাহিন, সুজন এবং নারায়ণগঞ্জের মামুন ও শিহাব।বুধবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার ভূমধ্যসাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল লিবিয়ার পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে। প্রবল ঝড়ো হাওয়া-বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসে শত শত বাড়িঘর উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেরনা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী ওয়াদি দেরনার দুটি বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ায় গোটা শহর ভেসে গেছে। 

লিবিয়ার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঝড়ের সময় সাগর থেকে অন্তত ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস সেখানে আঘাত হেনেছিল। সোমবার ঝড়ের পর লিবিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে দেরনার সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির লিবিয়া শাখার প্রধান তামের রমজান জানিয়েছেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ের পর থেকে এখনো দেরনা ও এর আশপাশের এলাকায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১০ হাজার জন। 

লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মুখপাত্র তৌফিক বলেছেন, ২০৮৪ জনের নিশ্চিত মৃত্যুর খবর তাদের কাছে রয়েছে। ৯০০০ মানুষ নিখোঁজ এবং ২০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

পূর্ব লিবিয়া সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অথম্যান আব্দুল জাজেল বলেছেন, ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি ভয়াবহ। দেরনার বিভিন্ন স্থানে এখনো মৃতদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। হাসপাতালে লাশ রাখার মতো জায়গা নেই। এখনো এমন জায়গা রয়েছে, যেখানে উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে পারেনি।

তিনি বলেন, আমরা যতটা আশঙ্কা করেছিলাম, পরিস্থিতি তারচেয়েও ভয়াবহ। এ অবস্থায় আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

 


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ