ভিয়েতনামে একটি অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ ৫৬ জন নিহত

আন্তর্জাতিক
আগুন   © সংগৃৃহীত

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ ৫৬ জন নিহত এবং ৩৭ জন আহত হয়েছে। সিএনএন জানিয়েছে, গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোররাত ২টার দিকে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের প্রায় ১৫০ জন বাসিন্দার বাসস্থান একটি নয় তলা ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়।

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে নয়তলা অ্যাপার্টমেন্টটি থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হলেও আজও সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে।

হ্যানয়ে খুব দ্রুত জনসংখ্যা বাড়ছে এবং গত ২০ বছরে চারগুন বেড়ে লোকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ ২৫ হাজার। তবে শহরটিতে নতুন তৈরি অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তার বিধিবিধান মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে হ্যানয় সিটি পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই অ্যাপার্টমেন্টের আগুনে শিশুসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আগুনের সূত্রপাত হয় পার্কিং ফ্লোর থেকে, যেখানে রাখা ছিল অনেকগুলো মোটরসাইকেল।

অ্যাপার্টমেন্টের অধিবাসীরা জানান, রাত ১১টার দিকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তারা। আর এরপরই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক। এক বাসিন্দা জানান, তারা তাদের জানালার লোহার বেষ্টনি ভেঙে পাশের অ্যাপার্টমেন্টের সঙ্গে মই দিয়ে রাস্তা বানিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এক নারী বলেন, ‘আমি সাহায্যের জন্য অনেক মানুষের চিৎকার শুনতে পেয়েছি। তবে আমরা তাদের জন্য বেশি কিছু করতে পারিনি। অ্যাপার্টমেন্টগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে লাগোয়া এবং হতভাগ্যদের বেরিয়ে আসার কোনো রাস্তাও ছিল না।’আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট পৌঁছালেও সংকীর্ণ প্রবেশপথের কারণে তারা আগুনের কাছাকাছি যেতে পারছিলেন না অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা।

হ্যানয়ে আগুনের ঘটনা হরহামেশাই ঘটে থাকে। গত বছর একটি কারাকো ক্লাবে আগুনের ঘটনায় ৩৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। ক্লাবটির জানালাগুলোও ইট দিয়ে প্লাস্টার করে আটকে দেওয়া ছিল। আগুনের পর দ্রুত বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পায়নি হতভাগ্যরা।


মন্তব্য