ভিখারি আর পকেটমারকে হজে না পাঠাতে পাকিস্তানকে সৌদির বার্তা

হজ
  © ফাইল ছবি

হজ শুরুর আগে সৌদি আরবের ‘সতর্কবার্তা’ পেল পাকিস্তান। আর্থিক সমস্যায় থাকা পাকিস্তানি সরকারকে হজযাত্রী বাছাইয়ের বিষয়ে কিছু ‘পরামর্শ’ দিয়েছে সৌদি সরকার। হজযাত্রায় কোটায় আবেদনকারীদের মনোনয়নের বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে ওই বার্তায়। কোনভাবেই যাতে ভিখারি কিংবা পকেটমারের মতো অপরাধীরা হজের সুযোগ না পান, সে কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ওভারসিজ পাকিস্তানি মন্ত্রণালয়ের সচিবের বরাত দিয়ে জিও নিউজ চ্যানেল এই তথ্য জানিয়েছে।

হজ যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে প্রতিটি দেশের জন্য কোটা নির্দিষ্ট করে দেয় সৌদি আরব। কোন দেশ থেকে কত জন মক্কায় আসবেন, তা সৌদিকে আগে থেকে জানাতে হয়। কোটার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্যও মেলে। সেই কোটার সুযোগে যাতে ভিখারি কিংবা অপরাধীরা ঢুকে পড়তে না পারে সে বিষয়ে আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি আরব।

সিনেটর রানা মাহমুদ-উল-হাসান জানিয়েছিলেন যে বিদেশ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ৯০% ভিক্ষুক পাকিস্তানের বাসিন্দা।

আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের জেলগুলোতে আপনাদের দেশের কয়েদিদের ভিড় জমে গিয়েছে। আর জায়গা নেই।

হজযাত্রায় সৌদি আরবে প্রচুর ভিড় হয় প্রতি বছর। ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনকেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। হজযাত্রা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সৌদি সরকারের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে এ বছর সৌদি থেকে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার মানুষের কোটা পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিকভাবে প্রবল আর্থিক সঙ্কটের কারণে এ বছর প্রথমে ইসলামাবাদ তা ফিরিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দেশের ভিতরে বিক্ষোভ তৈরি হওয়ায় কিছু শর্তসাপেক্ষে ‘উমরাহ ভিসা’ কোটায় হজযাত্রায় সম্মতি দেয় পাক সরকার।