যে মামলা প্রমাণিত হলে ইমরান খানের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে

ইমরান খান
  © ফাইল ছবি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে আলোচিত সাইফার মামলায় সম্প্রতি অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, অভিযোগ প্রমাণ হলে ইমরান খান ও কোরেশিকে ‘মৃত্যুদণ্ডের রায়’ দেওয়া হতে পারে।

এফআইএ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের চালান ধারা ৫ এবং ৯ এ আবেদন করেছে যা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড বা দুই থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

পাকিস্তানের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে সাইফার মামলার বিচারের লক্ষ্যে একটি বিশেষ আদালত গঠিত হয়েছে।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন এফআইএ কর্মকর্তারা। 

তবে পিটিআই এফআই এ চালান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশি ছাড়াও এই মামলায় সাবেক মুখ্য সচিব আজম খান, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক মহাসচিব আসাদ উমরকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তারকা সাক্ষী আজম খান। কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ হওয়ার পর তার বক্তব্য প্রকাশ পায়। তিনি বলেছেন যে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গোপন নথিটি ব্যবহার করেছিলেন সেই সময়ে সংসদে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অনাস্থা প্রস্তাব থেকে জনসাধারণের মনোযোগ সরানোর জন্য।

বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে পিটিআই প্রধান আজম খানকে বলেছিলেন যে, তিনি জনসাধারণের কাছে সাইফারটি প্রদর্শন করবেন এবং "স্থানীয় অংশীদারদের সাথে যোগসাজশে একটি বিদেশী ষড়যন্ত্রের কারণে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে এমন কার্ড খেলবেন"।

এফআইএ এমন সময়ে ট্রায়াল কোর্টে চালান জমা দেয় যখন মিস্টার খান সাইফার মামলায় গ্রেপ্তার-পরবর্তী জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

সূত্র: ডন