লাদাখ ও কারগিলে নির্বাচনে ধরাশায়ী বিজেপি

লাদাখ-কারগিল
কারগিলে নির্বাচনে ভোট দিতে আসা কিছু ভোটার  © মিন্ট

লাদাখ স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদ, কারগিল নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে বহুলা আলোচিত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম সেখানে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে কার্যত গো-হারা হেরে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি।

লাদাখ স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদ, কারগিল-এ মোট আসন সংখ্যা ৩০। এর মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার কাউন্সিলর মনোনীত করা হবে। বাকি ২৬ আসনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ভোট-গ্রহণ হয় গত ৪ অক্টোবর। 

রবিবার (৮ অক্টোবর) সকালে ভোট গণনা শুরু হয় এবং গভীর রাতে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ্যে আসে। এতে দেখা যায় বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যতম শরিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস দল বিপুলভাবে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে, মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। নির্বাচনে ন্যাশনাল কনফারেন্স ১২, কংগ্রেস ১০ এবং বিজেপি মাত্র ২টি আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া ২টি আসনে নির্দলীয় প্রার্থী সফল হয়েছেন।

ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ও জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ জয় সম্পর্কে বলেছেন, এই নির্বাচনী ফল স্থানীয় জনগণের সাথে পরামর্শ ছাড়াই পূর্ববর্তী জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিভাজনের বিরুদ্ধে একটি বার্তা দিয়েছে। 

তিনি বলেন, নির্বাচনের ফল বিজেপির জন্য বিপদের ঘণ্টা। এই ফল সেই সমস্ত শক্তি এবং দলগুলোর কাছে একটি বার্তা যারা স্থানীয় জনগণের সম্মতি ছাড়াই অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক উপায়ে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দু’ভাগে বিভক্ত করেছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি বিজেপি এবং তার বিভাজনমূলক নীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী জনাদেশ। ২০১৯ সালের ৫ আগস্টে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের জন্য যা করেছে তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।’  

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, এটি গত মাসে লাদাখে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সরাসরি প্রভাব।    

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। এরপর জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দু’টি কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। এ নিয়ে সেখানকার জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

সূত্র: পার্স টুডে, এনডিটিভি, দ্য হিন্দু