ইসরায়েলের প্রত্যেকটি হামলার জবাবে বন্দি থাকা ইহুদিদের একে একে হত্যার হুমকি হামাসের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৩১ PM , আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৩১ PM

গত চার দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের বহু নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস। তাদেরকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গাজার বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধবন্দি হিসাবে হেফাজতে রেখেছে স্বাধীনকামী এই গোষ্ঠী। এরই মধ্যে গাজায়ও অনবরত রকেট হামলা করে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে প্রাণ যাচ্ছে গাজার বহু নিরীহ মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের প্রত্যেকটি হামলার জবাবে গাজায় বন্দি থাকা ইহুদিদের একে একে হত্যা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস।
পড়ুন>>> হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ: বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতার শঙ্কা
হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেছেন, ইসরায়েলের দিক থেকে আগে থেকে সতর্ক না করে গাজার উপর কোনও আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না। ইসরায়েল আক্রমণ করলেই হামাস ইসরায়েলি বন্দি নাগরিকদের হত্যা করবে। এক-একটি আক্রমণের অর্থ এক এক জন করে নাগরিকের মৃত্যু।
তিনি বলেন, আমরা ইসরায়েলি বন্দিদের নিরাপদ ও সুস্থ রেখে ইসলামিক নির্দেশ অনুসারে কাজ করছি। কিন্তু ইসরায়েলের ধাপে ধাপে বোমাবর্ষণ এবং সতর্কতা ছাড়াই আসা বিমান হামলায় আমাদের বাড়ির ভিতরে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার ঘটনা বন্দিদের সঙ্গে আমাদেরকে খারাপ আচরণে উৎসাহিত করবে।
শনিবারের প্রথম হামলায়ই ইসরায়েলের বহু নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস। তাদের যুদ্ধবন্দি হিসাবে ফিলিস্তিনের হেফাজতে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এক জায়গা থেকে ইসরায়েলি সেনারা অন্তত ১০০ জন নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তাদের ধারণা, ওই নাগরিকদেরও যুদ্ধবন্দি করেছিল হামাস। তার পর খুন করা হয়েছে। হামাস এবং ইসরায়েলের সংঘাতে এখনও পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে চলছে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমাবর্ষণ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ৬৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা চার হাজারের কাছাকাছি। গত চার দিন ধরে হামাস এবং ইসরায়েলি সেনার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই চার দিনে হামাসের হামলায় ইসরায়েলেও মারা গেছে অন্তত ৯০০ মানুষ।
শনিবার ভোরে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজ়ায় সর্বাত্মক সেনা অভিযানের কথা জানান। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করে বলেছিলেন, ‘যুদ্ধে আমরাই জিতব’।
ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই গাজায় ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলা চলছে। গাজায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎসহ সব ধরনের সেবা।