এবার মিশরকে হুমকি দিয়ে যা বললো ইসরায়েল

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন
গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সৈন্য  © রয়টার্স

গাজায় সাহায্য না করতে মিসরকে হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলভিত্তিক হিব্রু ভাষার গণমাধ্যম চ্যানেল ১২ সম্প্রতি এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে।

গণমাধ্যমটি জানায়, যদি রাফা ক্রসিং দিয়ে কোনো ত্রাণ বহনকারী ট্রাক গাজায় প্রবেশের চেষ্টা করে তবে ইসরায়েল তাদের ওপর হামলা চালাবে।

ফিলিস্তিনে মিসরের সাহায্যকারী যানবাহনে হামলার হুমকি দিলেও হামাসের সঙ্গে সমঝোতার জন্য মিসরের শরণাপন্ন হয় ইসরায়েল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়, ইসরায়েল মিসর সরকারকে হামাসের কাছে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আলোচনায় সাহায্য করতে কায়রোকে অনুরোধ জানিয়েছে।

আরও পড়ুন:- ফিলিস্তিনের পক্ষে বিবৃতি দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

তবে হামাসের এক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে সংগঠনটি। এই দলগুলো ইসরায়েলিদের বন্দি হিসেবে আটকে রেখেছিল। ফলে এসব ইসরায়েলির ভাগ্যে কী ঘটছে তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বিগ্ন ইসরায়েলি প্রশাসন।

এদিকে ইসরায়েলকে হামলার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিল মিসর। ৯ অক্টোবর মিসরীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে জানা যায়, তিনি সোমবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইসরায়েলকে বারংবার সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল যে, গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো বড় কিছুর পরিকল্পনা ফাঁদছে।

মিসরীয় এ কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলিরা পশ্চিম তীর নিয়েই বেশি মনোযোগী ছিল। তারা গাজার ব্যাপারে কম গুরুত্ব দিয়েছে।

আরও পড়ুন:- ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনাকারীদের হাতে চুম্বন করি: খামেনি

অ্যাসোসিয়েট প্রেস জানায়, মিসরীয় এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা তাদের এমন বড় একটি বিস্ফোরক অবস্থার বিষয়ে সতর্ক করে আসছিলাম। তবে তারা এসব সতর্কবার্তার তোয়াক্কা করেনি।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার ইসরায়েলে ৫ হাজারের অধিক রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। এই হামলার প্রেক্ষিতে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় মুহুর্মুহু হামলা চালায় ইসরায়েল। মসজিদ, গির্জা, স্কুল, অ্যাম্বুলেন্স কোন কিছুই রেহাই পাচ্ছে না ইসরায়েলি এই বর্বর হামলায়। দুই পক্ষের এই হামলা-পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে ৯০০ এবং ফিলিস্তিনে ১৪০ জন শিশুসহ ৭৭৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।