ইসরায়েলি নারী-শিশুকে মুক্তি দিয়ে হামাসের ভিডিও প্রকাশ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:০৩ PM , আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:০৩ PM

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে এক ইসরাইলি নারী ও দুই শিশুকে মুক্ত করে দিতে দেখা যায়। গত শনিবার ইসরাইলে হামাসের হামলার পর কোনো এক সময় তাদের আটক করা হয়েছিল।
হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা ইসরাইলি নারী–শিশুদের নির্বিচার আটক করেছে। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ‘অপরাধ সংঘটনের’ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে হামাস ওই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে।
গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিল, ইসরায়েলি শিশুর মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দিয়েছে হামাস। এই বক্তব্য দেওয়ার সময় তাকে অনেক আবেগি হতে দেখা যায়। তবে আজ আরেক মার্কিন বিবৃতিতে ইসরায়েলি শিশুর ওপর অত্যাচারের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তারা বলে, জো বাইডেন ভিডিও না দেখেই ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:- গাজায় মেডিকেল সাহায্য পাঠাচ্ছে জর্ডান
আল জাজিরার হাতে আসা ভিডিওটি দূর থেকে ধারণ করা। এতে অজ্ঞাত এক নারী ও দুই শিশুকে একটি বেড়ার পাশে রেখে আসেন এক ব্যক্তি। সম্ভবত তিনি হামাসের সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, জায়গাটি গাজা ও ইসরাইলের সীমান্ত বেড়া। দূরে আর পেছন থেকে ভিডিও করায় নারী ও শিশুদের মুখ দেখা যায়নি।
বুধবার রাতে আল জাজিরা ভিডিওটি সম্প্রচার করেছে। তবে ভিডিওটি কবে ও কোথায় ধারণ করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষও এ ভিডিও নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায় নি।
তবে কাসেম ব্রিগেডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই নারী ইসরাইলের নাগরিক। সেই সঙ্গে তিনি ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারী। সংঘাতের সময় দুই শিশু সন্তানসহ তাকে আটক করা হলেও এখন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:- হামাসকে আর ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন না বলার সিদ্ধান্ত বিবিসির
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাতের শুরু ৭ অক্টোবর। ওই দিন ইসরাইলের ভূখণ্ডে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় হামাস। মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজারের মতো রকেট ছুড়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় সংগঠনটি। ভেদ করে ইসরাইলের গর্ব করার মতো নিরাপত্তাব্যবস্থাকে।
শুধু তাই নয়, সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। আটক করা হয় ১৫০ ইসরাইলিকে। শুরুতে হতবাক হলেও দ্রুত পালটা জবাব দেয় ইসরাইল। পালটা আক্রমণ করে গাজা উপত্যকায়। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
আরও পড়ুন:- ইরানের প্রেসিডেন্ট-সৌদি যুবরাজের ফোনালাপ: সংকট নিরসনের জন্য মুসলিম বিশ্বে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান
এর পর থেকে ফিলিস্তিনে মুহুর্মুহু বোমা পড়ছে। ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজায় অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবারের চরম সংকট। অনেক জায়গায় নেই বিদ্যুৎ। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় মৃত মানুষের সংখ্যা ১৩০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০০-তে। তাদের মধ্যে দেশটির ১৫৫ জন সেনা সদস্যও রয়েছেন।