ইরানকে হুমকি দিয়ে যা বললো বাইডেন
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৩ PM , আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৩ PM

৬ দিন ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত চলছে। গাজার পাশাপাশি লেবাননেও বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল। এর আগে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সেনাদের আক্রমণ করে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামাসের আক্রমণে এক হাজার দুইশ জন মারা গেছেন। তবে ইসরায়েল তাদের নিজেদের দেশের সব জায়গা আবার পুনরুদ্ধার করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে মৃতের সংখ্যা ১৩৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইরান যেন সতর্ক থাকে। আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান ইসরায়েলের কাছে পৌঁছে গেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইরানকে সতর্ক থাকার হুমকি দিয়েছেন বাইডেন।
আরও পড়ুন:- ইসরায়েলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পৌঁছানোর পর হামাসের রকেট হামলা
বুধবার (১১ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসে ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের বাইডেন বলেছেন, হামাস যে আক্রমণ করেছে, তা চরম নিষ্ঠুরতা ছাড়া আর কিছু নয়। ইসরায়েলের প্রতি তার আবেদন, তারা যেন সংঘাতের নিয়ম মেনে চলে।
এর আগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফসফরাস বোমা ফেলার অভিযোগ আনা হয়। স্কুল, মসজিদ, হাসপাতালকে টার্গেট করে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ইরান হামাসকে অর্থ ও সামরিক সাহায্য দেয় বলে অভিযোগ। হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, জার্মানি-সহ অনেক দেশ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রেখেছে।
হামাসের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলে ‘ইউনিটি’ বা জাতীয় সরকার গঠিত হলো। অর্থাৎ, ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি বিরোধীরাও ইসরায়েলের সংকটসময়ে সরকারে সামিল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুই এই সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:- গাজায় মেডিকেল সাহায্য পাঠাচ্ছে জর্ডান
নেতানিয়াহু ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট জোটের নেতা গ্যান্টজকে পাশে নিয়ে টেলিভিশন ভাষণে এই জাতীয় সরকারের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা একটা জরুরি জাতীয় সরকার গঠন করেছি। ইসরায়েলের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। আমরাও সব বিভেদ ভুলে এক হয়েছি।
তিনি বলেন, হামাসের সব সদস্য মৃত মানুষে পরিণত হবে। ইসরায়েলের সেনাদের মাথা কাটা হয়েছে। মেয়েদের ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে।
গ্যান্টজ জানিয়েছেন, আমরা পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে শত্রুদের বার্তা দিতে চাই।
ইসরায়েলের শান্তিকর্মী বাসকিন জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও হামাসের বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিল কাতার। তারা বলেছিল, হামাস তাদের হাতে বন্দি সব নারী ও শিশুকে মুক্তি দিক। বিনিময়ে ইসরায়েলও তাদের জেলে বন্দি ফিলিস্তিনি নারীদের মুক্তি দিক। কিন্তু এই নিয়ে আলোচনা করতেই কেউ রাজি নয়।
আরও পড়ুন:- ইসরায়েলি নারী-শিশুকে মুক্তি দিয়ে হামাসের ভিডিও প্রকাশ
তিনি জানিয়েছেন, হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল আক্রমণ বন্ধ না করলে তারা কোনো আলোচনায় বসবে না। আর ইসরায়েল তো হামাসের সঙ্গে কোনো আলোচনার মধ্যেই যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
তার মতে, অদূর ভবিষ্যতে কোনো পক্ষই আলোচনার টেবিলে বসবে না। আলোচনার জন্য কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাস বা কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও হামাসের হাতে বন্দিদের ছাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বাইডেন জানিয়েছেন, তাদের হাতে ১৫০ জন বন্দি আছে। যুক্তরাষ্ট্র-সহ অনেক দেশ হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করলেও তুরস্ক তা করেনি। আবার ২০২২ সালে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও স্বাভাবিক করেছে।