ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায় ভারতের আধ্যাত্মিক এই নেতা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০০ PM , আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০০ PM

ভারতের বিতর্কিত আধ্যাত্মিক নেতা ইয়াতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী, যিনি প্রায়শই তার ঘৃণাত্মক বক্তৃতার জন্য শিরোনাম হন এবং মুসলমানদের গণহত্যার দাবি জানান। এবার সে আবারও শিরোনামে ফিরে এসেছেন।
উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের দাসনা দেবী মন্দিরে ৫৮ বছর বয়সী আধ্যাত্মিক নেতা ইয়াতি নাসিংহানান্দ স্বরসতী ইসরায়েলে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
গত শুক্রবার এক ভিডিও জারি করে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ইয়াতি। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ভারত একই শত্রুর সঙ্গে লড়াই করছে।
আরও পড়ুন:- স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান জানাল ভারত
ইয়াতি দাবি করেছে, বর্তমানে ভারতের সনাতন ধর্মের অনুসারীরা শত্রুর সাথে লড়াই করার অবস্থানে নেই, তারা এখনো জেগে ওঠেনি। তাই যতক্ষণ না এমন সময় আসে, তিনি এবং তার অনুসারীরা ইস্রায়েলকে সমর্থন করতে চান।
ইয়াতি বলেছে, ‘আমরা ইসরায়েলি নেতাদের বলতে চাই, তারা আমাদের ইসরায়েলে যাওয়ার অনুমতি দিক, তাদের সেনাদের সাথে শামিল করুক। আমরা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। আমাদের আর কোন দাবি নেই, আমরা শুধু মুসলমানদের মারতে চাই।’
ইয়াতি আরও বলেছে, আমরা ১৪০০ বছরের প্রতিশোধ নিতে চাই। সে বলে, আমরা ১০০০ সন্যাসী নিয়ে ইসরায়েলি দূতাবাসে গিয়ে লিখিত আবেদন করবো। এবং এই যুদ্ধে ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে যুদ্ধের অনুমতি চাইবো।
আরও পড়ুন:- ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য মিসরের সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
এছাড়া কোরআন ও হযরত মুহাম্মদ (স) কে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছে বিতর্কিত এই নেতা।
ইয়েতি নরসিংহানন্দ কে?
ইয়াতি নরসিংহানন্দের ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উত্তেজক মন্তব্য করার জন্য খ্যাত।
তিনি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের অন্যতম সংগঠক ছিলেন, যেখানে তিনি মুসলমানদের গণহত্যার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কনক্লেভের ভিডিওগুলি যা অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছিল তা অনেককে হতবাক করেছিলো। এছাড়া এই ঘটনা ব্যাপক নিন্দার উদ্রেক করেছিলো। এবং নিন্দার উদ্রেক করেছিল, অনেকে এটিকে ১৯৩০-এর দশকে জার্মানির নাৎসিদের সাথে তুলনা করেছিল।
আরও পড়ুন:- ইসরায়েলেরে পক্ষ নিয়ে আরব দেশগুলোর দরজায় ঘুরছে যুক্তরাষ্ট্র!
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস এবং জিহাদ আন্দোলন-সহ কয়েকটি সংগঠনের যোদ্ধারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের অভ্যন্তরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায়। তারা বলেছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলের লাগাতার হত্যাযজ্ঞ ও দমনপীড়ন এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদের অবমাননার অবসান ঘটানোর জন্য তারা এই অভিযান চালিয়েছে।
ইসরায়েলের অমানবিক এই হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ২,৬৭০ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৯, ৬০০ জন। দখলকৃত পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ৫৭ জন, আহত ১২০০ জন। এছাড়া গাজায় ধ্বংসস্তুপের নিচে ১০০০ মানুষ আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।