‘গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান অবশিষ্ট নেই’

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন
গাজায় ইসরায়েরি বর্বর হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে এক শিশু (ইনসেটে আহত এক শিশু)  © সংগৃৃহীত

গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান অবশিষ্ট নেই বলে জানিয়েছেন সেভ দ্য চিলড্রেনের মানবিক পরিচালক গ্যাব্রিয়েলা ওয়াজমান। তিনি স্থানীয় সময় রোববার গাজার অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এখানে তাঁর কর্মীদের জন্য পরিস্থিতি অনেক কঠিন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে।  

গাজার উত্তর অংশ থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। এবার সবুজ সংকেত পেলেই গাজা শহরের ভেতরে প্রবেশ করবে ইসরায়েলের পদাতিক সেনারা। একই সময়ে আকাশ ও সমুদ্রপথেও অভিযান চালানো হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন:- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিরব দেশ ও সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া নিন্দা ইরান প্রেসিডেন্টের

সেভ দ্য চিলড্রেনের অনেক কর্মী নিজ বাসস্থান ছেড়ে চলে গেছেন জানিয়ে গ্যাব্রিয়েলা ওয়াজমান বলেন, সংস্থার অনেক কর্মী তাঁদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। কারণ তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া আমার জন্য কঠিন হয়ে গেছে। 

ওয়াজমান বিবিসিকে বলেন, ‘আমার একজন সহকর্মী আজ আমাকে বলেছেন যে তিনি আশা হারিয়ে ফেলছেন এবং তাঁর এখন স্বপ্ন শুধু সন্তানদের কাছে ফেরা।’

গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান অবশিষ্ট নেই জানিয়ে ওয়াজমান বলেছেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে  এখানকার অবস্থা আরও খারাপ হবে, যার ফলে বাসিন্দাদের ওপর আরও খড়্‌গ নেমে আসতে পারে।’

আরও পড়ুন:- ইসরায়েলেরে পক্ষ নিয়ে আরব দেশগুলোর দরজায় ঘুরছে যুক্তরাষ্ট্র!

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস এবং জিহাদ আন্দোলন-সহ কয়েকটি সংগঠনের যোদ্ধারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের অভ্যন্তরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায়। তারা বলেছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলের লাগাতার হত্যাযজ্ঞ ও দমনপীড়ন এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদের অবমাননার অবসান ঘটানোর জন্য তারা এই অভিযান চালিয়েছে।

ইসরায়েলের অমানবিক এই হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ২,৬৭০ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৯, ৬০০ জন। দখলকৃত পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ৫৭ জন, আহত ১২০০ জন। এছাড়া গাজায় ধ্বংসস্তুপের নিচে ১০০০ মানুষ আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:- ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায় ভারতের আধ্যাত্মিক এই নেতা

গাজা শহরের মাটির নিচে হামাসের শক্তিশালী সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও অপহৃত নাগরিকদের উদ্ধার করার জন্য স্থল অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল