মিশরের ‘সিনাই উপত্যকায়’ যাক গাজার ফিলিস্তিনিরা: সাবেক ইসরায়েলি মন্ত্রী

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় উত্তর গাজা ছাড়ছে ফিলিস্তিনিরা  © সংগৃৃহীত

চলমান অস্থিরতার মাঝে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের মিশরের সিনাই মরুভূমিতে যেতে বললেন ইসরায়েলের সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যানি আয়লন। 

আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইসরায়েল ও হামাসের চলমান লড়াইয়ের মধ্যে তাদের (গাজাবাসী) জন্য সিনাইতে অস্থায়ী তাঁবুর শহর স্থাপন করা যেতে পারে; যেখানে তারা কিছু সময়ের জন্য আশ্রয় নেবেন।

ইসরায়েলের সাবেক মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা। শুক্রবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে 'জাতিগত নিধন' হিসেবে উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন:- ইসরায়েলেরে পক্ষ নিয়ে আরব দেশগুলোর দরজায় ঘুরছে যুক্তরাষ্ট্র!

আয়লন বলেন, "আমরা গাজার জনগণকে সাময়িক সময়ের জন্য এলাকা ছেড়ে যেতে বলেছি, যাতে আমরা সেখান থেকে হামাসকে বের করতে পারি এবং তারপরে অবশ্যই তারা (গাজাবাসী) সেখানে ফিরে যেতে পারবেন।"

"আমরা গাজাবাসীদের সমুদ্রে নেমে যেতে বলি না বা ডুবে যেতে বলি না … সিনাই মরুভূমিতে যেতে বলছি। গাজার ঠিক অপর পাশে সিনাই মরুভূমিতে বিশাল, বিস্তৃতি জায়গা রয়েছে, যেখানে তারা অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিতে পারেন," যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:- ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য মিসরের সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

ইসরায়েলের সাবেক মন্ত্রী আরও বলেন, "তাদের উচিত উন্মুক্ত এলাকায় চলে যাওয়া, সেখানে আমরা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিলে তাদের জন্য অবকাঠামো প্রস্তুত করব ... এটা হবে তাঁবুর শহর, যেখানে খাবার ও পানির সুবিধা থাকবে; যেমনটা সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।" 

তিনি আরও বলেন, গাজায় সবকিছু 'পুনরুদ্ধার' করা হবে, যদি হামাস 'তাৎক্ষণিকভাবে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে'।

আল জাজিরায় এই সাক্ষাৎকার প্রচারের পর চলমান সহিংসতাকে বিশেষজ্ঞরা জাতিগত নিধনের 'পাঠ্যপুস্তক' উদাহরণ হিসেবেই উল্লেখ করছেন।

আরও পড়ুন:- ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায় ভারতের আধ্যাত্মিক এই নেতা

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস এবং জিহাদ আন্দোলন-সহ কয়েকটি সংগঠনের যোদ্ধারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের অভ্যন্তরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায়। তারা বলেছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলের লাগাতার হত্যাযজ্ঞ ও দমনপীড়ন এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদের অবমাননার অবসান ঘটানোর জন্য তারা এই অভিযান চালিয়েছে।

ইসরায়েলের অমানবিক এই হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ২,৬৭০ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৯, ৬০০ জন। দখলকৃত পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ৫৭ জন, আহত ১২০০ জন। এছাড়া গাজায় ধ্বংসস্তুপের নিচে ১০০০ মানুষ আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।