গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা
'ধবংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষের চিৎকার শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু কিছুই করতে পারছি না'
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:২৫ PM , আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:২৫ PM

গাজার আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ও বসতবাড়িগুলো বোমা ও গোলার আঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। গতরাতে গাজার রাফাহ ও খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৮০ জনে পৌঁছেছে।
বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচে রয়েছে শত শত মৃতদেহ। পর্যাপ্ত সরঞ্জামের অভাবে, গাজার বাসিন্দারা খালি হাতেই ধবংসস্তূপ খুড়ে মৃতদের বাইরে আনছেন, দাফনের চেষ্টা করছেন। ধবংসস্তূপে নারী, শিশুসহ আরও অনেকেই আটকা পড়েছে। ধবংসস্তূপ থেকে ভেসে আসছে আটকে পড়াদের বাঁচার আকুতি। কিন্তু, তাদের উদ্ধারের উপায় না থাকায়– শোক বিহ্বল উদ্ধারকারীরা।
'ধবংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষের চিৎকার শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু কিছুই করতে পারছি না'। ইসরায়েলের টানা বোমাবর্ষণের মধ্যে গাজার একজন চিকিৎসক আহমেদ শাহিন সেখানকার পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:- ‘গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ না করলে আরেকটি শকওয়েভ আসছে’
বসনিয়ার স্বাধীন গণমাধ্যম ইসট্রেগা'কে শাহিন বলেন, 'পরিস্থিতি আরও ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। প্রতিমুহুর্তে আরও অবনতি হচ্ছে। গাজার ওপর বিরতিহীনভাবে বোমা ফেলা হচ্ছে, এক মুহূর্তের জন্যেও তা বন্ধ হচ্ছে না। তারা সব দিক দিয়ে– বিমান থেকে , সাগরে অবস্থানকারী যুদ্ধজাহাজ থেকে এবং স্থলপথে কামান থেকে বোমা/গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।'
'এরইমধ্যে ধবংস হওয়া ভবনগুলোর মধ্যে আটকে পড়া মানুষকে বাঁচানো যাচ্ছে না। আমরা তাদের অসহায় চিৎকার, আকুতি শুনতে পারছি, কিন্তু তাদের উদ্ধারে কিছুই করতে পারছি না। এদিকে হাসপাতাল আহত, নিহতদের দিয়ে ভরে গেছে। মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য হাসপাতালে কোনো হিমায়িত সুবিধা নেই। এই বিভীষিকা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।'
আরও পড়ুন:- গাজা যুদ্ধ থেকে কিছু সেনা পালিয়ে গেছে, তারা ইসরায়েলি আগ্রাসন বিরোধী
তিনি আরও বলেন, 'মানুষের খাবার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই। পানি না থাকার অভাবটাই সবচেয়ে ভোগাচ্ছে। পান করা বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার মতো পানিও নেই।'
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১১ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২,৮০৮ জন নিহত হয়েছে এবং ১০,৮৫৯ জন আহত হয়েছে।