মিসাইল ছুঁড়ে ইসরায়েলি অত্যাধুনিক ট্যাংক ধ্বংস করলো হিজবুল্লাহ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫৮ PM , আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫৮ PM

মিসাইল ছুঁড়ে ইসরায়েলের একটি অত্যাধুনিক ট্যাংক ধ্বংস করলো লেবাননের হিজবু্ল্লাহ গেরিলারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
ফিলিস্তিন-লেবানন সীমান্তের হানিতা এলাকায় টহলরত একটি মারকাভা ট্যাংককে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। ডিফেন্স সিস্টেম ভেদ করে ট্যাংকটিকে সফলভাবে আঘাত করে ক্ষেপণাস্ত্রটি। এর পরপরই বিস্ফোণে ধ্বংস হয়ে যায় সেটি।
ইরানের প্রযুক্তিতে তৈরী থারাল্লাহ অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে হিজবুল্লাহ গেরিলারা। ট্যাংকটি ধ্বংসের পরপরই উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা। হামাসের অভিযানের পর থেকেই ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ গেরিলারা।
আরও পড়ুন:- গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু
এদিকে ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি হাসপাতালে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ওই এক হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) আল-আহলিল আরব নামের একটি হাসপাতালে এ হামলা চালায় ইসরায়েল।
হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:- গাজা হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল, প্রমাণ চাইলো রাশিয়া
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের উপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
এক বিবৃতিতে গাজার সরকার বলেছে, ‘হাসপাতালটিতে কয়েকশ আহত ও অসুস্থ মানুষ ছিলেন। এছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষও এখানে ছিলেন।’
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল হামাস। এরমধ্যেই হাসপাতালে চালানো হলো ভয়াবহ হামলা।
আরও পড়ুন:- গাজা হাসপাতালে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই হাসপাতালটির একটি হলরুমে কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। মূলত বিমান হামলা থেকেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারা। তবে সেখানেও চালানো হয়েছে নৃশংসতা।
ভয়াবহ এই হামলার দায় এখনো স্বীকার করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তারা বলেছে, হামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হামলার পর সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আল জাজিরার টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত ফুটেছে দেখা গেছে, হাসপাতালের প্রায় সব জায়গায় মানুষের রক্ত পড়ে আছে। যেগুলো তখনো শুকায়নি।