ইসরায়েল নয়, অন্য কোন দল গাজা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে: বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, 'ইসরায়েল নয়, সম্ভবত অন্য কোন দল গাজা হাসপাতালে বোমা হামলার জন্য দায়ী

বাইডেন নেতানিয়াহুকে বলেছে, আল-আহলি আরব হাসপাতালে বোমা হামলাটি "আপনি নয়, অন্য দল" দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র দলগুলি এর পিছনে ছিল।

আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। তবে বাইডেন তার বক্তব্যের জন্য কোন প্রমাণ প্রদান করেননি। খবর আল জাজিরার।

আরও পড়ুন:- মিসাইল ছুঁড়ে ইসরায়েলি অত্যাধুনিক ট্যাংক ধ্বংস করলো হিজবুল্লাহ

অবশ্য এর আগেও বাইডেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি ইস্যু নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। হামাস গ্রুপ ইসরায়েলি শিশুকে শিরোশ্ছদ করেছে বলে বিবৃতি দিয়েছিলো বাইডেন। কিন্তু ইসরায়েল এটা অস্বীকার করায় হোয়াইট হাউজ অন্য এক বিবৃতি প্রকাশ করে ভুল শুধরে নেয়।

আমেরিকানরা যখন বলেছিল যে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা দল মঙ্গলবার রাতে গাজা হাসপাতালে বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করবে, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন একটি বিস্তৃত তদন্ত হবে।

আরও পড়ুন:- গাজা হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল, প্রমাণ চাইলো রাশিয়া

তবে দেখা যাচ্ছে যে রাষ্ট্রপতি বাইডেন ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে হাসপাতালে বর্বর আক্রমণের পিছনে কারা রয়েছে। তিনি অত্যন্ত দুর্বল শব্দ ব্যবহার করে বলেছেন যে এই হামলায় "অন্য দল" দায়ী ছিল।

একটি মিসফায়ারিং রকেট হাসপাতালের হত্যাকাণ্ডের কারণ বলে দাবি করে, বাইডেন কার্যকরভাবে ইসরায়েলকে যে কোন ধরণের কাজ প্রয়োজন, তা করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:- গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু

এছাড়াও বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বাইডেন নেতানিয়াহুকে বলেছেন যে, গাজায় অব্যাহত যুদ্ধের মধ্যে ওয়াশিংটন ইসরায়েলকে আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করবে।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই এক হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) আল-আহলিল আরব নামের একটি হাসপাতালে এ হামলা চালায় ইসরায়েল। যদিও ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে। এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টও এই সুরে সুর মেলালো।