অপরাধ করে অন্যের ওপর দায় চাপানো ইসরায়েলের পুরনো অভ্যাস: জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইসরায়েল
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি  © মডিল ইস্ট মনিটর (ফাইল ছবি)

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, গাজার আল আহলি আরাব হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতের ইসরাইলি হামলা অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ। মার্কিন টিভি চ্যানেল এনবিসি'র সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।

হাসপাতালে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোই হামলা চালিয়েছে বলে ইসরাইল ও আমেরিকা যে মিথ্যাচার করছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসরাইলের এই দাবিকে কেউ বিশ্বাস করে না। তারা এর আগেও এ ধরণের মিথ্যাচার করেছে। তাদের এ ধরণের মিথ্যাচারে মানুষ অভ্যস্ত। তারা প্রথমে যেকোনো অপরাধের দোষ ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপিয়ে দেয়, পরে আস্তে আস্তে নিজেদের দোষ স্বীকার করে।

আরও পড়ুন:- গাজায় ‘মানবিক সহায়তা’ পাঠানোর প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দিলো যুক্তরাষ্ট্র

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরাইল হাসপাতালে হামলার কথা অস্বীকার করলেও আরব বিশ্বের সব মানুষ ইসরাইলকেই এ জন্য দায়ী বলে মনে করে। আরব বিশ্বের মানুষ এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, ইসরাইলের দাবি তখনি কেবল মানুষ বিশ্বাস করতে পারে যদি তারা নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত চালানোর অনুমতি দেয় এবং তাতে প্রমাণিত হয় যে তারা এই হামলার পেছনে ছিল না।

গত মঙ্গলবার রাতে গাজার আল আহলি আরাব হাসপাতালে ইসরাইলে বোমা হামলায় ৫ শত বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

আরও পড়ুন:- গাজা হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল, প্রমাণ চাইলো রাশিয়া

এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় শুরু হয়। তবে নির্লজ্জ ইসরায়েল এই হামলার দায় অস্বীকার করে উল্টো হামাস ও ইসলামি জেহাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে। তাদের এই ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাদের সমর্থিত পশ্চিমা মিডিয়া।

গতকাল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন বলেন, এই হামলা আপনি করেন নি, সম্ভবত অন্য কোন পক্ষ এই হামলা করেছে।

আরও পড়ুন:- ‘ইউরোপীয় নেতারা সমর্থন জানাতে ইসরাইল সফর করছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য নয়’

গাজা হাসপাতালে হামলা নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথমে একটা প্রতিবেদন লেখে। সেটার শিরোনাম ছিলো, গাজা হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত: বলছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এর কিছুক্ষণ পর শিরোনাম পাল্টে লেখে, গাজা হাসপাতালে হামলায় ৫০০ ফিরিস্তিনি নিহত: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। পরের শিরোনাম থেকে ইসরায়েলকে সরিয়ে দেয়।

ইসরায়েরি ডিফেন্স ফোর্স বলছে, ইসলামি জিহাদ গ্রুপের রকেট মিসফায়ার হয়ে হাসপাতালে এসে পড়ে। যার ফলে এই ঘটনা ঘটে। তবে ইসরায়েলের এক পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি কোন গ্রুপের কাছে এতো শক্তিশালী বোমা নেই যে হাসপাতাল তছনছ হয়ে যাবে। তারা যতো বোমা বানিয়েছে, তা এতো বিধ্বংসী নয়।