গাজা যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিল ইরাকি প্রতিরোধ ফ্রন্ট

গাজা
মার্কিন সামরিক ঘাটিতে ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলা, জর্ডান-ইসরায়েল সীমান্ত ও গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আহত এক শিশু  © সংগৃৃহীত

সিরিয়া ও ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ ফ্রন্ট। গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার আল তানাফ ও কুনিকো মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে রকেট ও ড্রোন হামলা হয়েছে।

গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা এবং এই বর্বরতার প্রতি মার্কিন সমর্থনের প্রতিবাদে আমেরিকার সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এই ফ্রন্ট। এর মধ্যদিয়ে তারা গাজা যুদ্ধে অংশগ্রহণ শুরু করলো বলেও দাবি করেছে।

ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ ফ্রন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা তিনটি ড্রোনের সাহায্যে সিরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আল-তানাফ ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এটি সিরিয়ায় আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি।

আরও পড়ুন:- ১০ দিনে গাজায় ফেলা বোমার সংখ্যা আফগানিস্তানে ১ বছরের চেয়ে বেশি: ইলহান ওমর

এর আগে ইরাকের প্রতিরোধ ফ্রন্ট ইরাকের আল-আনবার প্রদেশের আইন আল আসাদ সামরিক ঘাঁটি এবং উত্তরাঞ্চলীয় 'আল হারির' সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এরপর তারা এক বিবৃতিতে দুই সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে।

ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ ফ্রন্ট কয়েক দিন ধরেই এই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল যে, গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা বন্ধ না হলে তারাও এই যুদ্ধে নিজেদেরকে জড়াবে।

এদিকে ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থানরত মেরিন সেনাদের অবিলম্বে সেখান থেকে চলে যাওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে দেশটির ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক।

আরও পড়ুন:- দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য রোডম্যাপের আহ্বান জানালেন ইতালি-গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী

শনিবার (২১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ আলটিমেটাম দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করে বলা হয়, ‘ওগুলো ছিল কেবল সতর্কবার্তা। আসল হামলা আমরা এখনো শুরু করিনি। আমরা আশা করব, সেই হামলা শুরুর আগেই তারা (মার্কিন সেনা) ইরাক ত্যাগ করবে।’

বিবৃতির শেষ দিকে ইসরাইলের উদ্দেশেও হুমকি দিয়েছে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক। এ প্রসঙ্গে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যদি সত্যিই ইসরাইল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে, সেক্ষেত্রে জর্ডান সীমান্তের ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকা উচিত হবে। কারণ (স্থল অভিযান শুরু করলে) সেখানে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে।’

আরও পড়ুন:- গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বাইডেনকে চিঠি হলিউড তারকাদের

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলের ভূখণ্ডে অতর্কিতে হামলা চলানোর পর ওই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরাইরের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। ইসরাইল ও হামাসের গত দুই সপ্তাহের যুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ‘ হাজার ৪০০ জন ইসরাইলি। এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ৪ হাজার ৩৮৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।

সূত্র: পার্স টুডে, আল জাজিরা