কাল রাতে গাজার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম থেমে যাবে: জাতিসংঘ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:১৫ PM , আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:১৫ PM

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বলেছে, গাজার হাসপাতালগুলোর জ্বালানির মজুদ প্রায় শেষের দিকে। এ কারণে আগামীকাল (বুধবার) রাতে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম থেমে যাবে।
সংস্থাটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জ্বালানি না থাকলে পানির ব্যবস্থা করা যাবে না এবং বেকারিও চলবে না।
ইউএনআরডব্লিউএ'র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইহুদিবাদী দখলদারেরা গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ চালাচ্ছে। তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যার পাশাপাশি পানি বন্ধ করে দিয়েছে। খাদ্য ও ওষুধ ঢুকতে দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন:- গাজায় প্রতি ১৫ মিনিটে ১ জন শিশু নিহত হচ্ছে
এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার মানুষের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ ও ত্রাণ সাহায্য পৌঁছায়নি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতার কথা বলে এখন পর্যন্ত ত্রাণ দেওয়া হয়নি।
এই মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, রাফাহ ক্রসিং পয়েন্ট দিয়ে প্রথমে ত্রাণ ভেতরে ঢুকেছে। এখন সেগুলো 'কাফ্র আবু সালেম' ক্রসিং পয়েন্টে পাঠানো হবে। সেখানে ইসরাইলি সেনারা এসব ত্রাণ চেক করবে, এরপর তা আবার রাফাহতে ফিরে আসবে। এ কারণে ফিলিস্তিনিদের হাতে এ পর্যন্ত একটি ট্যাবলেটও পৌঁছেনি।
আরও পড়ুন:- মুসলিমদের আল-আকসায় প্রবেশে ইসরায়েলের বাধা
জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে এ পর্যন্ত গাজার বহু হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ৯ অক্টোবর গাজাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে রাখে ইসরায়েল। এছাড়া সেখানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, খাবার সবকিছু প্রবেশ বন্ধ করে দেয়।
দুইদিন আগে মিশর রাফাহ সীমান্ত খুলে দিলেও যে পরিমাণ ত্রাণবাহী ট্রাক সেখানো পৌঁছাচ্ছে তা সমুদ্রে শিশির বিন্দুর মতো বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।