গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যায় ‘আস্থা নেই’ বাইডেনের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৪৭ PM , আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:১৮ PM

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহতের যে সংখ্যা ফিলিস্তিনিরা প্রকাশ করছে, সেটির ওপর 'আস্থা নেই' বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গতকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বাইডেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ৬,৫০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭০০ জনেরও অধিক শিশু।
আরও পড়ুন:- ফিলিস্তিনপন্থী লক্ষাধিক একাউন্ট লক করে দিয়েছে মেটা
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, আজ দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে, এরমধ্যে অধিকাংশই শিশু। আহত আরও অনেকে।
"নিহতের সংখ্যা নিয়ে ফিলিস্তিনিরা সত্য বলছে কি না তা নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। আমি এটা নিশ্চিত যে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। একটি যুদ্ধের মূল্যই এসব," বলেন বাইডেন।
তবে, নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা নিয়ে তিনি কেন সন্দিহান, তার কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি বাইডেন।
গত ১৭ অক্টোবর গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলার পর গাজা কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত ৪৭১ জন নিহতের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাদের মতে, ওই হামলায় ১০০ থেকে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বাইডেনের এ মন্তব্য নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:- ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল জাজিরার সাংবাদিকের স্ত্রী ও দুই সন্তান নিহত
সিএআইআর এক বিবৃতিতে বলেছে, "সাংবাদিকরা হতাহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। গাজা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ভিডিও প্রকাশিত হচ্ছে, যেখানে ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে। পুরো শহরের একটি বড় অংশ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
তারা আরও বলে, "প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উচিত এসব ভিডিওর দুয়েকটি দেখা। এবং নিজেকে প্রশ্ন করা যে, হামলাকৃত ভবনের ধ্বংসাবশেষে পিষ্ট শিশুদের যে টেনে টেনে বের করা হচ্ছে, তা বানোয়াট কি না, বা যুদ্ধের মূল্য হিসেবে মেনে নেওয়ার মতো কিনা।"
এর আগে বাইডেন একটি ফেইক নিউজের উদ্বৃত্তি দিয়ে বলেছিলো, ইসরায়েলে হামাসের সদস্যরা এক শিশুকে শিরশ্ছেদ করেছে। এজন্য তিনি খুবই মর্মাহত। যদিও পরবর্তীতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে যে এমন ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।