গাজা থেকে জিম্মিদের উদ্ধার করতে কমান্ডো পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

কমান্ডো
  © সংগৃৃহীত

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিন প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধাদের হাতে  আটক জিম্মিদের উদ্ধারে কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে এসব কমান্ডো ইসরায়েলে এসে পৌঁছেছেন।

চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করতে আমেরিকা রণতরী ও অস্ত্রের চালান পাঠানোর পর  কমান্ডো বাহিনীও পাঠালো।

নিউ ইয়র্ক টাইমস ও টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় আটক জিম্মিদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে মার্কিন কমান্ডোরা ইসরায়েলে এসেছেন।

আরও পড়ুন:- গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে বাইডেনকে ভোট না দেওয়ার হুমকি মুসলিম আমেরিকানদের

মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে একটি বিশেষ অপারেশন কনফারেন্সে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব ক্রিস্টোফার মায়ার বলেন, “আমরা সক্রিয়ভাবে ইসরায়েলিদের অনেক কিছু করতে সাহায্য করছি।”

তিনি বলেন, “মার্কিন জিম্মিসহ সব বন্দিদের উদ্ধারে ইসরায়েলকে সহায়তা করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। এটা করা সত্যিই আমাদের দায়িত্ব।”

মার্কিন কমান্ডো বাহিনীর কত সদস্য ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি ক্রিস্টোফার মায়ার। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে ইসরায়েলে থাকা একটি দল ছাড়াও কয়েক ডজন মার্কিন কমান্ডোর বিশেষ অপারেশনস বাহিনী ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বাবা ও দুই বোনসহ ১৯ স্বজনকে হারালেন আল জাজিরার কর্মী

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন স্পেশাল অপারেশনস বাহিনীকে গাজায় যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তারা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে স্থলঅভিযান পরিচালনায় কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছে। এছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে মার্কিনিদের সরিয়ে নেওয়া ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তার জন্যও কমান্ডোরা কাজ করবে। 

নিউ নিয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধারে সহায়তা করার পাশাপাশি যুদ্ধ বিস্তৃতি হলে ইসরায়েল ও লেবানন থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ গোপনে ইসরায়েলে বিশেষ বাহিনী পাঠিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত রকেট হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এছাড়া তারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে প্রায় ২২১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হাজার হাজার বেসামরিক নারী-শিশুকে হত্যা করছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত তাদের বর্বর হামলায় ৫ হাজার ৫২৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ২৩ হাজার।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ