গাজায় গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলি নেতাদের বিচার দাবি করল ভেনিজুয়েলা

গাজা
  © সংগৃৃহীত

গত মঙ্গলবার গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বোমাবর্ষণের দায়ে দখলদার ইসরাইলের নেতাদের বিচার দাবি করেছেন ভেনিজুয়েলার সরকার।

গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে ভেনিজুয়েলার সরকার এক বিবৃতিতে গাজা বিশেষকরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার ভোরে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা দিতে হবে এবং গাজায় অবিলম্বে জাতিগত নিধন বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনকে পরাধীন করে রাখা হয়েছে, এই ভূখণ্ডকে মুক্তি দিতে হবে।

এর আগেও নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ফিলিস্তিনি জাতির জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার বিষয়ে এবং তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা জরুরি। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না বরং সেখানে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালানো হচ্ছে।

গাজার সমর্থন দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো প্রথম থেকেই সোচ্চার রয়েছে। এ পর্যন্ত কলম্বিয়া ও বলিভিয়া দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।

ইসরাইল গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজায় নির্বিচার গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্র, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্রই হামলা চালাচ্ছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বোমাবর্ষণ করেছে। এর ফলে ১৯৫ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ১২০ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৭৭ জন।

এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে মানবতাবিরোধী দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হামলায় ৮ হাজার ৮০৫ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।

গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করছে ইসরায়েল, তবুও পশ্চিমা বিশ্ব তাদেরকে অকপটে সাহায্য করে যাচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, বৃটেন ও ফ্রান্স। তবে এই দেশগুলোতে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এসব বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় হাজার হাজার মানবতাবাদীরা। তবে এদের অনেককে গ্রেপ্তার করেছে দেশগুলোর সরকার।


মন্তব্য