জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা ‘যুদ্ধাপরাধ’: জাতিসংঘ

ইসরায়েল-হামাস
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত এক ভবনে চলছে উদ্ধারকাজ  © সংগৃৃহীত

গাজার উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবারের পর বুধবারও অব্যাহত ছিল হামলা। এই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৫ হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭৭ জন।

আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) গাজার হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তারা এই শরণার্থী শিবিরে হামলা 'যুদ্ধাপরাধ' হতে পারে বলে মত দিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বলেন, 'জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমানহামলার পর যে পরিমাণ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন এবং যত বড় আকারে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তাতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এই হামলা মাত্রা ছাড়িয়েছে এবং একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।' হাই কমিশনারের কার্যালয়ের এক্স একাউন্টে এই বার্তা পোস্ট করা হয়। 

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ৪০০ নাগরিককে হত্যা করে হামাস। এর পর থেকেই টানা টানা ২৫ দিন ধরে গাজায় নির্বিচারে বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ জানায়, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত গাজায় ৮ হাজার ৮০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ হাজার ৬৪৮ শিশু রয়েছে। এছাড়া, আহত হয়েছেন প্রায় ২৩ হাজার। নিহতদের ৭৩ শতাংশই নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ।

বৃহস্পতিবার ভোরে গাজা শহরে অবস্থিত আল-কুদস হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল থেকে সব রোগী ও কর্মীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ জানায়। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, রোগীদের জীবন বিপন্ন না করে এটা সম্ভব নয়।

ইসরায়েল দাবি করেছে, মঙ্গলবার ও বুধবারের হামলায় আল জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামাসের দুই কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, শিবিরের ভেতরে ও আশেপাশে বেসামরিক ভবনে হামাসের কমান্ড সেন্টার ও অন্যান্য অবকাঠামো রয়েছে।

গাজার গণ মাধ্যম কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়, মঙ্গলবার ও বুধবারের হামলায় জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ১৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এখনো ১২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং অন্তত ৭৭ জন আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনিরা বুধবার সারাদিন ধ্বসে পড়া পাথরের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, 'এখানে গণহত্যা হয়েছে।'


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ