ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিচ্ছে ওয়াগনার গ্রুপ: প্রতিবেদন
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:২০ PM , আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:২০ PM

লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপ। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরানপন্থি এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সহায়তার অংশ হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক পোস্ট বলেছে, বর্তমানে রুশ এসএ-২২ নামের এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ নিয়ে ওয়াগনার ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যে আলোচনা চলছে তা পর্যবেক্ষণ করছেন আমেরিকান কর্মকর্তারা। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাটি প্যান্টসির এস-১ নামেও পরিচিত।
অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাটি রাশিয়ার তৈরি। এটি ট্রাক থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট আর্টিলারি অস্ত্র সিস্টেম। এটি যে কোনো ধরনের বিমান হামলা মোকাবিলায় বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও বন্দুক ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন:- গাজায় বেসামরিক জনগণের ওপর ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ইউক্রেন যুদ্ধে উন্নত এই ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এবার ইসরায়েলের বিমান হামলার ঠেকাতে এই অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করতে পারে হিজবুল্লাহ। তবে ইসরায়েলি বোমা হামলা ঠেকাতে হামাসকে এই অস্ত্র দেওয়া হবে কিনা কিনা, তা এখনো অস্পষ্ট।
উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ ঘিরে লেবাননের সীমান্তে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে। লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ জন নিহত হয়েছে। এদিকে লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালালে ইসরায়েলের ৯ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ৮ জন ইসরায়েরি সৈন্য এবং ১ জন বেসামরিক নাগরিক।
যদিও এই যুদ্ধে অন্য কোনো পক্ষকে না জড়াতে হুশিঁয়ারি দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বাইডেনের হুশিঁয়ারি সত্ত্বেও গত সপ্তাহে বৈঠক করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যৌথ যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইসলামিক জিহাদের প্রধানরা।