জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতের অভিযোগ
রাশিয়া তেল আবিবের আত্মরক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করেছে
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৫ PM , আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৫ PM

ইহুদিবাদী ইসরাইল অভিযোগ করেছে যে, রাশিয়া তেল আবিবের আত্মরক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করেছে।
গত বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছিলেন, দখলদার শক্তি হওয়ার কারণে ইসরাইলের নিজের নিরাপত্তা রক্ষার অধিকার নেই। এই মন্তব্যের পর ইসরাইল রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলি ওয়াইনেট সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি সেনাদের অব্যাহত অভিযানের মধ্যেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
বুধবার নেবেনজিয়া আরো বলেছিলেন, গাজা উপত্যকায় অভিযান চালানোর কোনো এখতিয়ার নেই ইসরাইলের এবং তারা সেখানে মূলত দখলদার হিসেবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন:- গাজায় শিশু-নারী হতাহত দেখে যাদের প্রাণ না কাঁদে, তারা পাথরের তৈরি: পুতিন
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান রাশিয়ার এসব বক্তব্যের পর তাচ্ছিল্য ও পাল্টা আঘাত করে বলেন, "শুনতে হাস্যকর... রুশ রাষ্ট্রদূত মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে ইসরাইলের কাছে নৈতিকতা প্রচার করেছেন।"
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়ার বহিষ্কারের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, “আমাদের কাছে প্রচার করতে পারে মস্কো ছিল এমন শেষ জায়গা।"
গিলাদ এরদান গাজায় ইসরাইলি সেনাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্ক বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযান থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে মস্কো। এজন্য তারা ইসরাইলকে গাজার অভিযান চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন। এই ধরনের প্রচেষ্টাকে "দুর্ভাগ্যজনক" বলে উল্লেখ করেন ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত।
ইউক্রেনে অভিযান শুরুর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা রাশিয়ার সদস্য পদ স্থগিত করে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল বাহিনী। সম্প্রতি উপত্যকাটিতে স্থল অভিযানও শুরু করেছে তারা। ইসরায়েল বলছে, নিজেদের আত্মরক্ষায় তাদের এই হামলা। একই ভাষ্য দেশটির পশ্চিমা অনেক মিত্রের।
তবে এই হামলাকে একেবারেই আত্মরক্ষার হামলা বলা যায় না। কারণ তারা বেসামরিক স্থাপনা, হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির এমনকি অ্যাম্বুলেন্সকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে, যা তাদের দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বেরই প্রমাণ বহন করে। তাদের এসব হামলায় সবচেয়ে বেশি হতাহত হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকরা। এদের মধ্যে আবার অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৮৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০ জন। নারী রয়েছে ২ হাজারের উপরে।