আমেরিকা বার্তা দিচ্ছে আমরা যুদ্ধ চাই না, বাস্তবে ইসরাইলের পক্ষে যুদ্ধ করছে: ইরান
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৮ PM , আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৮ PM

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, আমেরিকা ইরানসহ কোনো কোনো দেশকে একটি বার্তা পাঠিয়েছে। ওই বার্তায় তারা বলেছে, দয়া করে সংযম প্রদর্শন করুন, আমরা যুদ্ধ চাই না।
নিউইয়র্ক টাইমসে গত বুধবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমেরিকা তাদের পাঠানো বার্তায় বলেছে, সংযমি হোন, আমরা যুদ্ধ চাই না। অথচ বাস্তবে তারা যুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে।
আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, কাজেই আমেরিকা কাউকে সংযমের অনুরোধ করার যোগ্যতা রাখে না। চলমান পরিস্থিতিতে তারা কিন্তু সংযম দেখায় নি বলে মন্তব্য করেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:- রাশিয়া তেল আবিবের আত্মরক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করেছে
তিনি আরও বলেন, আমেরিকা যুদ্ধকে আরও বিস্তৃত এবং তীব্র করতে চায়। ইহুদিবাদী ইসরাইলকে তারা অস্ত্র, অর্থ, রাজনৈতিক এবং সামরিক সহায়তা দিয়ে যুদ্ধকে আর কঠোর পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য উৎসাহিত করছে।
আমির আবদুল্লাহিয়ান জোর দিয়ে বলেন, আল-আকসা তুফান অভিযান ফিলিস্তিনিরা নিজেদের সিদ্ধান্তেই চালিয়েছে। অধিকৃত অঞ্চলে হামাসের ওই অভিযান চালানোর কারণ ছিল গাজা এবং পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নেতানিয়াহুর চরম আগ্রাসন, আল-আকসা মসজিদের অবমাননা এবং পবিত্র ওই মসজিদকে ইহুদিয়ায়ন করার চেষ্টা।
তিনি অবলিম্বে গাজার বেসামরিক নিরীহ জনগণের ওপর ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধের জোর দাবি জানান। সেইসঙ্গে গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানো এবং জনগণের হাতে সেইসব ত্রাণ যাতে পৌঁছে তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন:- গাজায় শিশু-নারী হতাহত দেখে যাদের প্রাণ না কাঁদে, তারা পাথরের তৈরি: পুতিন
আব্দুল্লাহিয়ান এই মুহূর্তে নিরীহ গাজাবাসীদেরকে পশ্চিম তীরে স্থানান্তরে বাধ্য না করারও আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল বাহিনী। সম্প্রতি উপত্যকাটিতে স্থল অভিযানও শুরু করেছে তারা। ইসরায়েল বলছে, নিজেদের আত্মরক্ষায় তাদের এই হামলা। একই ভাষ্য দেশটির পশ্চিমা অনেক মিত্রের।
তবে এই হামলাকে একেবারেই আত্মরক্ষার হামলা বলা যায় না। কারণ তারা বেসামরিক স্থাপনা, হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির এমনকি অ্যাম্বুলেন্সকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে, যা তাদের দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বেরই প্রমাণ বহন করে। তাদের এসব হামলায় সবচেয়ে বেশি হতাহত হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকরা। এদের মধ্যে আবার অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৮৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০ জন। নারী রয়েছে ২ হাজারের উপরে।
সূত্র: পার্স টুডে