গাজার রানতিসি ক্যান্সার হাসপাতাল এখনিই খালি করার নির্দেশ

গাজা
গাজার রানতিসি ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশু। ২০১৯ সালের একটি ছবি  © এপি

ইসরায়েল এবার গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণে বোমা হামলা শুরু করেছে। দক্ষিণ গাজাকে নিরাপদ মনে করা হচ্ছিল, কিন্তু এবারে সেখানেও ভারী বোমাবর্ষণ শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। গতকাল আল রাফায় বোমা হমালা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হমলায় শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়। খবর আল জাজিরার।

এটা হাসপাতাল এবং সমস্ত স্বাস্থ্য সুবিধার উপর একটি বড় যুদ্ধ। আল-শিফা হাসপাতালের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। 

এদিকে মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত গাজার রানতিসি ক্যান্সার হাসপাতাল, যেখানে প্রায় ১ হাজার জন লোক আছে, সেটা অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।

তাদের বার্তা ছিল ‘এখনই চলে যাও’। বিমান হামলার কারণে ক্রমাগত সন্ত্রস্ত ও ট্রমা সৃষ্টি সত্ত্বেও ইসরাইল গাজার সর্বত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অমানবিক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তাদের এই বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ২২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ হাজার ১০৪ জনই শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ।

এদিকে গাজায় শিশু হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজা এখন শিশুদের জন্য কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সেখানে শত শত ছেলে-মেয়ে নিহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে যে, গাজায় হাসাপাতালগুলিতে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সুবিধা নেই। এছাড়া সেখানে বিশুদ্ধ খাবার ও পানি ফুরিয়ে গেছে।

গুতেরেস বলেছেন, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) ৮৯ জন কর্মকতা নিহত হয়েছেন। ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের ৫ সহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের ১৮টি সংস্থা এক বিবৃতিতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। যদিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাময়িক যুদ্ধবিরতির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।