জাপানে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের সুরেই সুর মেলালো জি-৭ নেতারা

গাজা
আজ বুধবার দখলদার ইসরায়েলের হামলায় অবরুদ্ধ গাজা (ইনসেটে জি-৭ এর নেতারা)  © সংগৃৃহীত

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে সারা বিশ্বে প্রতিদিনই বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে লাখ লাখ মানুষ। বিশ্বব্যাপী গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি উঠলেও আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে তেল আবিবকে অস্ত্র, অর্থসহ সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন। পুরো ইউরোপেই মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। অথচ সেই সব দেশের সরকারগুলো বারবার ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের কথা বলে যাচ্ছে।

এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই গা ভাসিয়েছে পশ্চিমা সাত শক্তির রাজনৈতিক জোট জি-৭ (গ্রুপ অব সেভেন)। বুধবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

বুধবার (৮ নভেম্বর) জাপানের টোকিওতে জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ছাড়াও যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বৈঠকের অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল গাজা যুদ্ধ। বৈঠক শেষে এই যুদ্ধ নিয়ে তারা একটি যৌথ বিবৃতিও দিয়েছেন। সেখানে মানবিক কারণে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির কথা বললেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাননি তারা। যদিও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রতিদিনিই শত শত মানুষ নিহত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন:- ইসরায়েলে যুদ্ধসামগ্রী বহনকারী জাহাজে পণ্য ওঠানামায় বার্সেলোনা বন্দরের খালসিদের অস্বীকৃতি

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিকাওয়া যৌথ বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবৃতিতে হামাসের নিন্দা করা হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে জি ৭-এর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে একটি "উল্লেখযোগ্য অর্জন" হিসাবে গাজায় "মানবিক বিরতির" আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশ, বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতে সেখানে যুদ্ধে সাময়িক বিরতির পক্ষে মত দিয়েছেন জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

এর আগে গত শনিবার (৪ নভেম্বর) জর্ডানের রাজধানী আম্মানে আরব বিশ্বের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে তাকে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

আরও পড়ুন:- ‘গাজায় প্রতিদিন ১৬০ শিশু নিহত হচ্ছে’: ডব্লিউএইচও

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধবিরতি হামাসকে সুবিধা দেবে। তারা পুনরায় সংগঠিত হবে এবং ইসরায়েলে আবারও হামলা চালাবে।

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা না বললেও গাজায় ত্রাণসহায়তা দিতে এবং হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তি করতে দু’পক্ষের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পক্ষে মার্কিন প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১০ হাজার ৩২৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এখন পর্যন্ত গাজায় ৪ হাজার ২০০ এর উপরে শিশু নিহত হয়েছে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ