মাহমুদ আব্বাসের গাড়িবহরে হামলা, দেহরক্ষী নিহত

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের গাড়িবহরে হামলার দৃশ্য (বামে)  © সংগৃৃহীত

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) অধিকৃত পশ্চিম তীর এলাকায় তার গাড়িবহরে হামলা হয়। এতে তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিএনএন তুর্কের বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মঙ্গলবার পশ্চিম তীরে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এ হামলায় তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি প্রতিবেদনে।

সংবাদমাধ্যম হুররিয়াত জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী সনস অব আবু জান্দাল। এর আগে দলটি গাজা নিয়ে দলটি তাকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল।

আরও পড়ুন:- আইসিসিকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আহ্বান জানাল দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। এরই মধ্যে ৩৪ দিনে গড়িয়েছে। এতে গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলর অব্যাহত বোমাবর্ষণে নিহতের সংখ্যা সাড়ে ১০ হাজার ৫৬৯ জন। নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৩২৪ জন শিশু রয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় গতকালের চেয়ে আজকে নতুন করে আরও ২৪১ জন নিহত হয়েছেন।

মন্ত্রলালয় আরও জানায়, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪৭৫ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এখনও ২৫৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩০৫ জন শিশু রয়েছেন। অব্যাহত এ হামলায় ১৯৩ জন মেডিকেল স্টাফ নিহত হয়েছেন এবং ৪৫টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরিসেবার বাইরে চলে গেছে। এছাড়া গাজার ১০টার উপরে হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:- ইসরায়েলের উপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাল বেলজিয়াম

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬৫ জনের ওপরে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক শত মানুষ।

এছাড়া আজ পশ্চিম তীরে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। সেখানকার মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দখলদার বাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে মোট ১৪৩০ জনেরও বেশি আটক করেছে। তবে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স গ্রুপ বলছে, ৭ অক্টোবর থেকে ২,২০০ জনকে আটক করা হয়েছে।