“ফিলিস্তিনের জনগণ মুসলমান, আরব এবং মানুষ; কেন তাদের সাহায্যে দ্রুত এগিয়ে আসা হচ্ছে না”

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন
সাইয়্যেদ আহমাদ খাতামি  © পার্স টুডে

আরব দেশগুলোর কাছ থেকে দখলদার ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার আশা খুবই কম বলে জানিয়েছেন তেহরানের জুমার নামাজের খতিব।

আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) গাজা দুর্ঘটনার ব্যাপারে আরব সরকারগুলোর যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে গিয়ে সাইয়্যেদ আহমাদ খাতামি ওই মন্তব্য করেন।

জুমার খতিব বলেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ইসরাইলি বর্বর হামলার এক মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। আজ এবং আগামিতে কোনো শিল্পী যদি ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরতার চিত্র ফুটিয়ে তুলতে চান, তাদের উচিত গাজা উপত্যকায় চলমান ইহুদিবাদী নৃশংস হামলার দৃশ্যগুলি চিত্রিত করা।

আয়াতুল্লাহ খাতামি বলেন, আল-আকসা অভিযানে ইহুদিবাদী ইসরাইলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ৫ লাখ ইহুদিবাদী উপশহর ও বসতি ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছে। বসতি ছেড়ে চলে যাওয়া ইহুদিবাদীরা নিজেরাই ঘোষণা করেছে যে তারা আর ফিরে আসবে না।

আরও পড়ুন:- ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

ইহুদিবাদী জল্লাদদের স্বরূপ এর আগে যারা দেখে নাই বিশ্বব্যাপী তারা আজ সেই রক্তচোষা পশুদের চেহারা দেখে ঘৃণা প্রকাশ করছে। তারা কতোটা পশু হলে হাসপাতালে পর্যন্ত হামলা চালায়। 

খতিব বলেন, হাসপাতালে হামলার পর আমেরিকার ঘৃণিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইল সফর করে বলেছেন, বোঝাই যায় এই গ্রেনেড হামলা ইসরাইলের কাজ নয় হামাসের কাজ; অথচ হামাসের কাছে কোনো গ্রেনেড নেই। 

আরবদের উদ্দেশে জনাব খাতামি বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ মুসলমান, আরব এবং মানুষ। কেন তাদের সাহায্যে দ্রুত এগিয়ে আসা হচ্ছে না?

খাতামি আরও বলেন, গাজা উপত্যকায় নৃশংস ও জল্লাদ ইহুদিবাদীদের হামলায় সমর্থন দিয়ে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং জার্মানিও সমানভাবে অপরাধ করেছে। এইসব ইউরোপীয় দেশের জনগণের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা দখলদার ইসরাইলকে সমর্থন করে যাচ্ছে। অথচ আরব সরকারগুলোর কাছ থেকে শিশু-হত্যাকারী সরকারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার আশাও খুবই কম।

এদিকে আজ গাজার আল শিফা হাসপাতালে হামলা চলেয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে হামলা চালালে এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। সেই সঙ্গে তারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এরপর ইসরাইল যুদ্ধ ঘোষণা করে। হামাসকে ধ্বংস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইসরাইল বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার জনই শিশু।

সূত্র: পার্স টুডে, আল জাজিরা


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ