ভিসা-মাস্টারকার্ড বয়কট করছে তুরস্ক

ইসরায়েল
  © সংগৃৃহীত

গাজায় নির্বিচার হামলার মাধ্যমে শিশুসহ বিপুল পরিমাণ বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করায় তুরস্কে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব ক্রমেই বাড়ছে। দেশটির নাগরিকেরা যেসব প্রতিষ্ঠান ও দেশ ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে তাদের বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন। কেবল তা-ই নয়, এরই মধ্যে ইসরায়েলপন্থী অভিযোগ এনে ব্যাংকিং লেনদেন সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ভিসা ও মাস্টারকার্ড বয়কট করেছে। বিপরীতে দেশটির নিজস্ব লেনদেন সেবা ট্রয়ের ব্যবহার বেড়েছে।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। এছাড়া আরটি ইন্টারন্যাশনাল এবং দ্য কাস্পিয়ান টাইমস এর প্রতিবেদনেও এই তথ্য জানানো হয়েছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকেরা প্রতিদিনই নিজেদের লেনদেনের জন্য ভিসা বা মাস্টারকার্ডের বিপরীতে দেশটির স্থানীয় লেনদেন কার্ড ট্রয় চালু করার আবেদন জানাচ্ছে। ২০১৫ সালে ইস্তাম্বুলভিত্তিক ইন্টারব্যাংক কার্ড সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই ট্রয় কার্ড চালু করে।

আরও পড়ুন:- “ফিলিস্তিনের জনগণ মুসলমান, আরব এবং মানুষ; কেন তাদের সাহায্যে দ্রুত এগিয়ে আসা হচ্ছে না”
 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ট্রয় ব্যবহারের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে এরই মধ্যে হ্যাশট্যাগ চালু হয়েছে। হ্যাশট্যাগটি হলো #আমরা ট্রায়কার্ড ব্যবহার করতে চাই। এরই মধ্যে অন্তত ১ লাখের বেশি তুর্কি এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন। টিআরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিসা ও মাস্টারকার্ড বয়কট আন্দোলনের সময়টাতে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ ট্রয় কার্ড নতুন করে চালু করা হয়েছে। 
 
ট্রয় কার্ড ২০১৫ সালে চালু করা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা বাজারে আসে ২০১৬ সালের এপ্রিলে। এটি তুরস্কের একমাত্র স্থানীয় লেনদেন ব্যাংকিং কার্ড। এই কার্ডের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা ডেবিট, ক্রেডিট এবং প্রিপেইড ও নেটওয়ার্ক প্রসেসিং সুবিধা পাবেন। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই কার্ডকে স্বীকৃতি দেয়। 
 
এর আগে গত সপ্তাহের শুরুর দিকে তুরস্কের সরকার দেশটির পার্লামেন্টের আশপাশের সব দোকান থেকে কোকাকোলা ও নেসলের সব পণ্য সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়। এই প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইসরায়েলকে সমর্থন করে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ওইদিন থেকেই গাজায় বেসামরিক মানুষের উপর হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তাদের বর্বর এই হামলায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার জনই শিশু।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় এখনও পর্যন্ত হামলা চলছে। গাজার আল শিফা হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ