গাজায় শিশু হত্যা হামাসের সংখ্যাই বাড়াবে: ইলন মাস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ PM , আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ PM

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটির ফাঁদে পা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। পশ্চিম জেরুজালেমকে ‘বিপরীতমুখী’ কৌশল নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার লেক্স ফ্রিডম্যানের পডকাস্টে মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি গাজায় কারও সন্তানকে হত্যা করেন, তাহলে আপনি হামাসের অন্তত আরও কয়েকটি সদস্য তৈরি করলেন, যারা ইসরায়েলিকে হত্যা করার জন্য মরতেও রাজি।’
টেসলা, স্পেসএক্স ও এক্স (সাবেক টুইটার) প্রধান বলেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এ দলের উদ্দেশ্যই ছিল ইসরায়েলকে নৃশংসতায় উসকে দেওয়া। গাজা ও ফিলিস্তিনের স্বার্থে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করতে আগ্রাসী প্রতিক্রিয়াকে কাজে লাগাতে চেয়েছে তারা এবং সফলও হয়েছে।
আরও পড়ুন:- হক ও বাতিলের যুদ্ধে প্রত্যেককে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কে কোন পক্ষে দাঁড়াবে
মাস্ক বলেন, ‘আলোচনার জন্য এটি সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু আমার মনে হয়, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি স্থাপন চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলে, এটা অবশ্যই ভাবা উচিত যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীর সংখ্যা বাড়ছে না কমছে। একজন হামাস সদস্য মারার বিপরীতে আপনি কয়জন নতুন করে তৈরি করলেন? আপনি যদি মারার চেয়ে তৈরি বেশি করে থাকেন, তবে আপনি সফল হননি।’
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আগ্রাসনের ফলে আনুমানিক ১৪০০ ইসরায়েলি মারা যায়। এছাড়া আরও ২৪০ জনকে জিম্মি করে নেওয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তখন থেকে গাজায় অনবরত বোমা বর্ষণ করে চলছে ইসরায়েল।
এরই মধ্যে গাজার সমস্ত ফিলিস্তিনি নাগরিককে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। কেউ কেউ শুধু হামাসকে নির্মূল করার কথা বলছে। আবার অনেকেই গাজায় পারমাণবিক বোমা ফেলার কথাও বলছে। অনেক ইসরায়েলি সংসদ সদস্য গাজার মানুষকে পশু বলেও আখ্যায়িত করছে। ইসরায়েলি ৩০ জনের উপরে রাব্বী গাজার মুসলমানদেরকে মারতে ইহুদি ধর্মে কোন বাধা নেই বলে ফতোয়া জরি করেছে। এই ফতোয়া আবার ইসরায়েলি সৈন্যদের কাছে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার হুমকি কলম্বিয়ার
গত শুক্রবার পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ২৭ হাজার ৫০০ জন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে আসল সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে।
ফ্রিডম্যানের পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘কঠিন মনে হলেও বিপরীতমুখী কৌশল এখানে নেওয়া উচিত। আমি ইসরায়েলকে দয়ার সবচেয়ে সুস্পষ্ট কাজটি করার পরামর্শ দেব।’
হামাস নেতাদের নির্মূল করার পাশাপাশি গাজার বেসামরিক নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করার মাধ্যমে এ গোষ্ঠীটির মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং ওই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কাজ করবে বলে যুক্তি দেন এ ধনকুবের।