নেতানিয়াহুর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২১ PM , আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২১ PM

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ শেষ হলে সেখানকার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাতে থাকবে বলে যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে বক্তব্য দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা চেয়েছে আমেরিকা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা এরইমধ্যে যোগাযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে গতকাল প্রথম খবর প্রকাশ করে ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ‘কান’। বিষয়টি নিয়ে আমেরিকা এবং ইসরাইলের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:- গাজার সবচেয়ে বড় দুই হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল
গত শনিবার তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, গাজা যুদ্ধ অবসানের পর সেখানকার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ বা অন্য কারো কাছে এই দায়িত্ব দেয়া হবে না বলে জানান যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু। তার এই বক্তব্যে আমেরিকা খানিকটা বিস্মিত হয়েছে এবং নেতানিয়াহু এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা জানতে চান মার্কিন কর্মকর্তারা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, গাজা থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার ক্ষেত্রে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসন অকুন্ঠ সমর্থন দিলেও গাজায় ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের অবস্থান।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের দখলদারিত্ব ভালো হবে না। এটি ইসরাইলের জন্য ভালো হবে না এবং ইসরাইলি জনগণের জন্যও ভালো হবে না।
বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সেখানকার সমস্ত কর্মকাণ্ড হামাসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এই হামলায় যুদ্ধের কোন নিয়ম না মেনে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে শিশু ও নারীদের নির্বিচারে হত্যা করছে দখলদার ইসরায়েল। অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যা শুরু করেছে বলে আন্তর্জাতিক বেশ কিছু সংস্থা দাবি করেছে।
গাজায় ইসরায়েলি নৃশংস হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে শিশুই আছে প্রায় ৫ হাজার, নারী ৩ হাজারের মতো। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২৮ হাজার মানুষ।