গাজা উপত্যকায় রক্তপাত বন্ধের প্রতিটি প্রচেষ্টা নস্যাত করে দিচ্ছে আমেরিকা: রাশিয়া

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন
ইসরায়েলি নৃশংসতার শিকার এক ফিলিস্তিনি শিশু  © সংগৃৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ মানুষের রক্তপাত বন্ধ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একের পর এক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা নস্যাত করে দিচ্ছে আমেরিকা। খবর পার্স টুডের

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অভিযোগ করে বলেছে, মার্কিন সরকার এমন সময় গাজা বিষয়ক প্রস্তাবগুলো ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে আটকে দিচ্ছে যখন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পর্যন্ত গাজায় তাদের কর্মীদের প্রাণ বাঁচাতে পারছে না।

গতকাল সোমবার (১৩ নভেম্বর) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “জাতিসংঘের সকল সদস্যদেশ সমস্বরে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছে যাতে সেখানকার অধিবাসীদের গণ-শাস্তি বন্ধ হয় এবং নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা অন্তত প্রাণে রক্ষা পায়। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদ এ বিষয়টি বাস্তবায়নকে বাধ্যতামূলক করতে পারছে না শুধুমাত্র আমেরিকা নামক একটি দেশের বিরোধিতার কারণে।”

আরও পড়ুন:- ইসরায়েলি ও মার্কিন পণ্য বয়কট করছে ভারতের মুসলিমরা

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গাজা উপত্যকায় অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে ইসরাইল সকল আন্তর্জাতিক আইন ‘পুরোপুরি’ মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু তেল আবিব ওই আইন না মানা সত্ত্বেও তাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আমেরিকার কারণে বাধা দিতে পারভে না।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ শুরু করার পর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে দুবার এবং ব্রাজিলের পক্ষ থেকে একবার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কিন্তু আমেরিকার ভেটোর কারণে প্রস্তাবগুলো পাস হয়নি। পক্ষান্তরে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে ইসরাইলের সমর্থনে একটি বিকল্প প্রস্তাব তোলা হয়েছিল যাতে ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া।

মার্কিন সরকার তখন থেকে গাজায় একটি ‘মানবিক সাময়িক বিরতি’র কথা বলে আসলেও সার্বিক যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করছে। ওয়াশিংটন দাবি করছে, এখন যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হলে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস চলমান যুদ্ধে বিজয়ী হবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মার্কিন সরকার কেবল তখনই যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে যখন তাতে ইসরাইলের বিজয় নিশ্চিত হবে।


মন্তব্য