গাজায় যে কোন সময় যুদ্ধবিরতি হতে পারে

গাজা
গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার একাংশ  © সংগৃৃহীত

সোমবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ডেভিড ইগনাটিয়াস জানিয়েছেন, গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের জন্য ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ের বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাস একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর কাছাকাছি পৌঁছেছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা সোমবার বলেছে, তারা কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের বলেছে, ইসরায়েলের সাথে তারা পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে গাজায় আটক ৭০ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা গ্রুপের টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে বলেন, গত সপ্তাহে কাতারি ভাইয়েরা ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে শত্রুর হাতে আটক ২০০ ফিলিস্তিনি শিশু এবং ৭৫ জন নারীকে মুক্তির প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। 

আরও পড়ুন:- গাজা উপত্যকায় রক্তপাত বন্ধের প্রতিটি প্রচেষ্টা নস্যাত করে দিচ্ছে আমেরিকা: রাশিয়া

তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতিতে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং গাজা উপত্যকার সর্বত্র ত্রাণ ও মানবিক ত্রাণের অনুমতি দেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই হামলায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায়। এর পরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। যদিও যুদ্ধ ঘোষণা হামাসের বিরুদ্ধে, কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী টার্গেট করছে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর। তাদের বাড়িঘর গুড়িয়ে দিচ্ছে। এমনকি হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জ ও শরণার্থী শিবিরেও হামলা শুরু করেছে।

তাদের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার জনই শিশু, নারী প্রায় ৩ হাজার। এছাড়া ইসরায়েলি নৃশংসতায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা দেখে বিষ্মিত পুরো বিশ্ব। তাদের এই বর্বরতা বন্ধের আহ্বান জানানো হলেও ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছে না পুরো বিশ্ব।