ইউক্রেনের কাছে ৩৬৪ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৯ PM , আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৯ PM

মার্কিন বেসরকারি দু’টি কোম্পানির মাধ্যমে ইউক্রেনে ৩৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রি চুক্তি করেছে অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, বিবিসি উর্দু সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২২ সালের আগস্টে একটি ব্রিটিশ সামরিক কার্গো বিমান রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ঘাঁটি নুর খানে অবতরণ করেছিল।
বিমানটি একই রুটে উড়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল। নুর খান এয়ারবেস থেকে সাইপ্রাসের ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি, আক্রোতিরি এবং সেখান থেকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী রাষ্ট্র রোমানিয়া রুটে উড়েছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় এটি ঘটেছিল বলেও উল্লেখ করে বিবিসি।
পাকিস্তান বারবার ইউক্রেনে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করার কথা অস্বীকার করেছে। তার পররাষ্ট্র দফতর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষে পাকিস্তান সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বলেই দাবি করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের আগস্টে পাকিস্তান দু’টি বেসরকারি মার্কিন সামরিক সংস্থার সাথে ৩৬৪ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেছে। যার অধীনে পাকিস্তান ওই সংস্থাগুলোকে ১৫৫ মিলিমিটার শেল বিক্রি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রকিউরমেন্ট ডেটা সিস্টেম থেকে প্রাপ্ত চুক্তির বিবরণ থেকে স্পষ্ট যে ওই অস্ত্রগুলো (১৫৫ মিলিমিটার শেল) পাকিস্তান থেকে কেনা হয়েছিল।
ওই চুক্তিগুলো বিশেষভাবে ১৫৫ মিলিমিটার শেলগুলোর জন্য ছিল। গ্লোবাল মিলিটারির সাথে ২৩২ মিলিয়ন ডলার এবং নর্থরপ গ্রুম্যানের সাথে ১৩১ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করা হয়েছিল।
এই চুক্তিগুলো পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) এর শাসনামলে হয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়। চুক্তিগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে গত মাসে অর্থাৎ অক্টোবরে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নুর খান বিমান ঘাঁটি থেকে একটি ব্রিটিশ সামরিক কার্গো বিমানে এই অস্ত্রগুলো সরবরাহ করা হয়েছিল। যা রাওয়ালপিন্ডিতে পাঁচবার অবতরণ করেছিল। যার প্রথম অস্ত্র সরবরাহ হয়েছিল গত বছর ২০২২ সালের আগস্টে।
বিবিসি উর্দু তার দাবির জন্য আরও প্রমাণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের তথ্য দেখায়, দেশটির অস্ত্র রপ্তানি ২০২২-২৩ অর্থবছরে তিন হাজার শতাংশ বেড়েছে। এতে বলা হয়, ‘পাকিস্তান ২০২১-২২ সালে ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যেখানে এই রপ্তানি ২০২২-২৩ সালে ৪১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।