যুদ্ধবিরতির পর গাজায় কী হবে- যা জানা গেল

গাজা
গাজায় ইসরায়েলি ট্যাংক  © সংগৃৃহীত

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে এক নজিরবিহীন ভোটের মাধ্যমে এ চুক্তি অনুমোদন করে দেশটির সরকার।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পর এক বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকার জানিয়েছে, গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি সব বন্দিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তারা বাধ্য। আজ রাতে সরকার এই লক্ষ্য অর্জনের প্রথম পর্যায়ের রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছে। রূপরেখা অনুযায়ী, অন্তত ৫০ জন নারী ও শিশুকে চার দিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে। এই সময়ে দুপক্ষের লড়াইয়ে বিরতি দেওয়া হবে। এই চার দিনের পর এক দিন করে যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ালে আরও ১০ জন করে জিম্মি মুক্তি দেবে।

আরও পড়ুন:- এটা যুদ্ধ নয়, এটা সন্ত্রাসবাদ: পোপ ফ্রান্সিস

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলের সরকার, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত সংস্থা সব জিম্মিদের মুক্তি, হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল এবং গাজা থেকে নতুন হুমকি যাতে না আসে তা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পর বুধবার এক বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমরা একটি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি এবং যতদিন আমাদের লক্ষ্য পূরণ না হয়, ততদিন এই যুদ্ধ চলবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপর হামাসকে নিশ্চিহ্নের নাম করে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।