যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সময় জানাল হামাস
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:১৭ PM , আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:১৭ PM

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের বহুল প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হামাসের কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক চুক্তি কার্যকরের এই সময় জানিয়েছেন।
মুসা বলেছেন, হামাস এবং ইসরায়েলের মাঝে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে কার্যকর হবে। গাজায় বন্দী ৫০ জিম্মির মুক্তি ও চারদিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে ইসরায়েল এক চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়ার পর হামাসের পক্ষ থেকে চুক্তিটি কার্যকরের সময় জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, আগামীকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। এরপর একই দিন দুপুর নাগাদ হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু হবে।
তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এই সময়ের ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। একটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা নাগাদ যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সময় জানাতে পারে ইসরায়েল।
এর আগে বেশ কয়েক দিনের দরকষাকষির পর বুধবার গাজা উপত্যকায় কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল ও হামাস। প্রাথমিকভাবে কোনো পক্ষই যুদ্ধবিরতি কখন থেকে কার্যকর হবে তা জানালেও কাতার বলেছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় চার দিন সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। পাশাপাশি ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলে মানবিক, চিকিৎসা সহায়তা ও জ্বালানি নিয়ে শত শত ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েলি বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে শত শত ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৪০ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রেখেছে হামাসের যোদ্ধারা। ওই দিন শুরু হওয়া যুদ্ধে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় ১৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে শিশু আছে ৫ হাজারের বেশি। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জনের বেশি।
উপত্যকায় চলমান তীব্র লড়াই বন্ধে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এক চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে হামাস এবং ইসরায়েলের মাঝে মধ্যস্থতা করছে কাতার এবং মিসর। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে দফায় দফায় আলোচনার পর মঙ্গলবার শিগগিরই হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে বলে জানায় কাতার। পরে একই দিন রাতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠকে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন পায়।