যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ার মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১০০

গাজা
গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার একটি দৃশ্য  © সংগৃৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন আজও অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম বলছে, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হওয়ার পর তা বাস্তবায়নের আগে অনেকটা পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করেছে ইহুদিবাদীরা। 

আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনে গাজা উপত্যকায় ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। 

গত মধ্যরাতের পর গাজার কেন্দ্রস্থলের কয়েকটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান থেকে হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক শহীদ হন। এছাড়া, সেখানে ধ্বংস্তুপের নিচে অনেকে আটকে আছেন। 

আরও পড়ুন:- যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সময় জানাল হামাস

এদিকে, গাজা উপত্যকার সুজাইয়া এলাকার ১০টি বাড়িতে ইহুদিবাদীদের বর্বর হামলায় ৩০ জনের বেশি শহীদ হয়েছেন। আজ খুব ভোরে এই হামলা চালানো হয়। এছাড়া, গাজা সিটির শেখ রেজওয়ান এলাকায় ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি শহীদ হন। 

আজ সকালে গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরেও ইসরাইলের বোমাবর্ষণে কয়েক ডজন মানুষ শহীদ হন। ইন্দোনেশিয়া হাসপাতাল ও কামাল আজওয়ান হাসপাতাল এলাকাতেও হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদীরা।

এদিকে যুদ্ধবিরতি শুরুর তারিখ জানিয়েছে হামাস। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক বলেন, হামাস এবং ইসরায়েলের মাঝে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে কার্যকর হবে। গাজায় বন্দী ৫০ জিম্মির মুক্তি ও চারদিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে ইসরায়েল এক চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়ার পর হামাসের পক্ষ থেকে চুক্তিটি কার্যকরের সময় জানানো হয়েছে।