বেদনার মাঝেও গাজার শিশুদের হাসানোর কাজ করছেন আলা মিকদাদ

গাজা
গাজার শিশুদের হাসাতে ভাঁড় সেঁজে অভিনয় করছেন আলা মিকদাদ  © সংগৃৃহীত

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সবচেয়ে বেশি নির্মমতার শিকার হয়েছেন সেখানকার শিশুরা। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি নৃশংসতায় ৫ হাজারের অধিক শিশু নিহত হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সেখানকার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। চারপাশে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ দেখে আতঙ্কিত ও ভীত তারা। সেইসঙ্গে বাড়িঘর ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে আসা, দিনের পর দিন অনাহারে থাকা ও স্বজনদের মৃত্যুর দুর্বিসহ স্মৃতি তীব্র মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছে গাজার শিশুদের। 

এই যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার গৃহহীন শিশুদের হাসাতে ক্লাউন শো করলেন গাজার শিল্পী আলা মিকদাদ। এর মাধ্যমে সব দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও বেঁচে থাকার বার্তা দিলেন তিনি।

নেচে-খেলে নানা অঙ্গভঙ্গিতে গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছেন বামন আলা মিকদাদ। ইসরায়েলি বোমা হামলার মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে আসা শরণার্থীদের একজন তিনি। বাস্তুচ্যুত শিশুদের আনন্দ দিতে তার এই বিশেষ আয়োজন।

ভাঁড় সেজে কৌতুকাভিনয়ের মধ্য দিয়ে তাদেরকে বেদনার মধ্যেও হাসার এবং জীবনকে উপভোগ করার বার্তা দিচ্ছেন তিনি। 

আলা মিকদাদ জানান, ইসরায়েলের বোমা হামলায় আমার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। পরিবারের অনেকেই মারা গেছে। গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে এখানে পালিয়ে এসেছি। স্রষ্টাকে ধন্যবাদ আমরা বেঁচে আছি।তবে আমি এখন আর কোন হাসির দূত নই বরং গণহত্যা থেকে বেঁচে ফেরা এক মানুষ।

এদিকে, একটি হাসপাতালে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত শিশুদের বিনোদন দিতে টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থা করেছে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট।