ইউক্রেনে ৬৩৭দিনে নিহত শিশু ৫৬০; গাজায় ৪৭ দিনে ৫,৮৪০
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৭ PM , আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৭ PM

গাজায় ইসরাইলের নৃশংসতা হার মানিয়েছে প্রায় দুই বছর ধরে চলা ইউক্রেনের যুদ্ধকেও। ৬৩৭ দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনে ১০,০০০ মানুষ (মঙ্গলবার পর্যন্ত) নিহত হয়েছে। অন্যদিকে গাজায় মাত্র ৪৭ দিনে মৃতের সংখ্যা ১৪,০০০ ছাড়িয়েছে (বুধবার পর্যন্ত)। (আল জাজিরা ও সিনহুয়ার রিপোর্ট)
মঙ্গলবার জাতিসংঘের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে গত তিন মাসে অর্ধেক মৃত্যুর ঘটনা ফ্রন্টলাইনে ঘটেছে। আর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৫৬০ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৮,৫০০ জনের বেশি বেসামরিক।
অন্যদিকে গাজার মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতার মতে, গাজায় মাত্র কয়েক দিনের যুদ্ধে প্রায় ৫,৮৪০ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নারীর সংখ্যা ৩,৯২০। পাশাপাশি প্রায় ৩৩,০০০ বেসামরিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:- যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ার মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১০০
এমনকি ইসরাইলের অমানবীয় তাণ্ডবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৬,৮০০ জন। যাদের মধ্যে ৪,৫০০ শিশু ও নারী বোমা হামলায় বিধ্বস্ত কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে আছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনে জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণের প্রধান ড্যানিয়েল বেল বলছেন, ‘ইউক্রেনের কোনো জায়গাই সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। যুদ্ধ এখন ২১তম মাসে প্রবেশ করছে, এখন এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’
একই অবস্থা গাজায়ও। ইসরাইলিরাও গাজার বেসামরিকদের অবরুদ্ধ অঞ্চলটির এদিক-ওদিক পাঠাচ্ছে। আবার আকস্মিক হামলা চালাচ্ছে স্থানান্তর পথেই। গাজার বেসামরিকদের দাবি, গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই। জাতিসংঘও বলছে, গাজার কোনো স্থানই নিরাপদ নয়।
গাজার জনগণকে রক্ষায় বন্দুকের ট্রিগারেই থাকবে আঙুল-হামাস : গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরাইল সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও জনগণের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র প্রস্তুতি থাকবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাস।
বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আমাদের আঙুল বন্দুকের ট্রিগারেই থাকবে। জনগণকে রক্ষায় এবং দখলদার শক্তিকে পরাজিত করতে আমাদের ‘বিজয়ী’ যোদ্ধারা তৎপর থাকবে।’
সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও ইসরাইল ও হামাস-দুই পক্ষই নিজেদের ‘বৃহত্তর লক্ষ্য অপরিবর্তিত থাকবে’ বলে ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি, সিনহুয়া