পশ্চিম তীরে চলছে ইসরাইলি তাণ্ডব; ২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত

ইসরায়েল
  © সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চলার সময় অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। বুধবার জেনিন শহরে তাদের গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি শিশু  নিহত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহত দুই শিশুর পরিচয় প্রকাশ করেছে। তাদের একজন আট বছর বয়সি আদম সামের আল-গ্বৌল এবং দ্বিতীয়জন ১৫ বছর বয়সি বাসিল সুলেইমান আবু আল-ওয়াফা।

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এক বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডকে ‘জঘন্য অপরাধ’ উল্লেখ করে বলেছে, দখলদার সেনারা ঠাণ্ডা মাথায় দুই শিশুকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামাস বলেছে, এজন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলকে জবাবদিহী করতে হবে।

এদিকে পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইহুদিবাদী সেনাদের তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ইসরাইল সেনাদের প্রতিহত করেন এবং এর ফলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত বেধে যায়।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, এ সময় দখলদার সেনারা বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ফেলে এবং বুলডোজার দিয়ে রাস্তা ধ্বংস করে দেয়। তারা একটি বাড়িতে ড্রোনের সাহায্যে বোমাবর্ষণ করে। ইসরাইলি সেনারা বুলডোজার চালিয়ে জেনিন শহরের পানি, বিদ্যুৎ ও পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি করে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সামরিক বাহিনী আল-কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে জেনিন শরণার্থী শিবিরে তাদের প্রবেশ বেশ কয়েক ঘণ্টা ঠেকিয়ে রাখে। এ সময় দখলদার সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আল-কুদস ব্রিগেডের যোদ্ধারা স্থানীয়ভাবে তৈরি বোমা দিয়ে ইহুদিবাদীদের সাঁজোয়া যানে আঘাত হানেন এবং এতে দখলদার সেনাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইসরাইলি সেনারা দাবি করেছে, তারা জেনিন শিবিরে দু’জন ফিলিস্তিনি কমান্ডারকে হত্যা করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের অভ্যন্তরে বড় ধরনের অভিযান চালানোর পর থেকে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে এ পর্যন্ত দখলদার সেনাদের হামলায় ২৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ২,৮৫০ জন আহত হয়েছেন। আর ইসরাইলি সেনারা শত শত ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে গেছে। ৭ অক্টোবরের আগেও পশ্চিম তীরে ইহুদিবাদী সেনাদের আগ্রাসনে শত শত ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। গত দুই দশকের মধ্যে পশ্চিম তীরে ইসরাইলি হামলায় এত বেশি সংখ্যক ফিলিস্তিনি হতাহত হননি।

সূত্র: পার্স টুডে