আহত ফিলিস্তিনিদের পাশে ১৩ বছর বয়সী কিশোর ইয়াজান
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৭ PM , আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৭ PM

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় মারাত্মক বোমা হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তদের হামলা জোরদারে গাজার খান ইউনিসের অন্য হাসপাতালগুলোর মতো ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতালেও প্রতি মুহুর্তে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্য কর্মীর সংকটে কাজ পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় হাসপাতালটিতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছে মাত্র ১৩ বছরের কিশোর ইয়াজান ফাসফৌস।
হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী প্যাকিং ও সরবরাহে কাজ করে এই কিশোর। ইয়াজান এই ছোট বয়সেই এমন দায়িত্বশীল কাজ করছে। বর্তমানে ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতালের সর্বকনিষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবী সে।
ইয়াজানের মা ন্যান্সি ফাসফৌস এই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। ইসরায়েলি হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকে বাধ্য হয়ে এখানেই আশ্রয় নিয়েছে পুরো পরিবার। যুদ্ধপরিস্থিতিতে হাসপাতালে কর্মী সংকটের কারণে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে প্রতিদিন মাকে কাজে সাহায্য করছে ইয়াজান।
স্বেচ্ছাসেবী ইয়াজান ফাসফৌস বলেন, ‘আমরা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত, চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের জন্য অনুরোধ আসতে থাকে। একটুও ঘুমানো, বসা ও বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ পাইনা। মাঝে মধ্যে কাজের চাপ কম থাকলে ৫ মিনিট বসে বিশ্রাম নেই।
ইয়াজান মা ন্যান্সি ফাসফৌস বলছেন, বয়স কম হলেও গুরুত্ব সহকারে নিজের ভূমিকা পালন করছে ইয়াজান। আল্লাহ ওর ভালো করুক। ও খুব মন দিয়ে কাজ করে। আমার কাজের চাপ দেখে ও নিজে থেকেই আমাকে সাহায্য করতে চেয়েছিল। এখানে কর্মী কম থাকায়, বাধ্য হয়ে নিজের সন্তানকেই কাজে নামিয়ে দিয়েছি।
ন্যান্সি আরও বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক কর্মীদের মতোই কাজ করে ইয়াজান। তাই ছেলের সঙ্গে কাজ করার সময় কখনোই তার মনে হয় না যে কোন কিশোরকে দিয়ে এগুলো করানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে প্রায় ১৮ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ ফিলিস্তিনি।