একদিনে ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত, পিছিয়েছে যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব

ইসরায়েলি
  © ফাইল ছবি

ইসরায়েলি হামলায় একদিনে প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনির প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দখলদার বাহিনীর অব্যাহত বোমা হামলায় এই নিহতের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া আহত হয়েছে শত শত ফিলিস্তিনি। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। সিটিও পিছিয়ে গেছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৯ হাজার ৬৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫২ হাজার মানুষ। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা আছে কয়েক হাজার।

গতকাল মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণের রাফাহ শহরের ৩টি বাড়িতে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালালে অন্তত ২৯ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে তিন আবাসিক ভবনে হামলায় ২০ জন নিহত হওয়ার খবর দেয় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করলে নিহতের সংখ্যা ২৯ জনে দাঁড়ায়।

ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি রাফাহ শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও তারা বলছেন, এখানে নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কার কারণ আছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার ভোরের দিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি সেনা ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইসরায়েলি সেনারা শহরে বিভিন্ন স্থানে ট্যাংক ও বিমানে করে বোমাবর্ষণ করেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১১৪০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় ১১০ জন বন্দি মুক্তি পেলেও হামাসের হাতে এখনো শতাধিক ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে।