ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নববর্ষ উদযাপন নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন
ইসরায়েলি হামলায় আহত এক শিশুকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে   © আনাদোলু এজেন্সি

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। সবশেষ খবর পর্যন্ত ইসরায়েলের নারকীয় হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ২১ হাজার ৩২০ জন। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও হামলা, ধড়পাকর শুরু করেছে দখলদার দেশটি। সেখানেও ইসরায়েলি হামলায় ৩০০ জনের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে সকল প্রকাল উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। 

পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার বৃহস্পতিবার ঘোষণায় বলেছেন, সারা দেশে নববর্ষ সম্পর্কিত সমস্ত উদযাপন নিষিদ্ধ করা হলো। দক্ষিণ এশীয় জাতি (পাকিস্তান) ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। কারণ তারা ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বর্বর হামলার শিকার।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বাদ যায়নি শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, বেসরকারী সংস্থা পরিচালিত স্কুল, মসজিদ, শপিংমলসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। 

ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) মধ্য গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান তীব্রতর ও বিস্তৃত হয়েছে। এ ইসরায়েলি হামলায় গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে অন্তত সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এছাড়া স্থানীয় চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, আল-মাগাজিতে বিমান হামলায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের এল আমাল হাসপাতালের কাছে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরা।

গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় নিহতদের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে হাজারো বাসিন্দা কেন্দ্রীয় গাজা ও খান ইউনিস ছেড়ে পালিয়েছে।


মন্তব্য