নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে গাজায় ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করলো ডব্লিউএইচও
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮ PM , আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮ PM

নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে গাজায় ওষুধ সরবরাহ বন্ধ
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর থেকে সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে গাজার অধিকাংশ হাসপাতাল। দখলদার দেশটির অব্যাহত হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার ৭০ ভাগের বেশি স্থাপনা। এ অবস্থায় গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে উত্তর গাজায় এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে উত্তর গাজায় ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল রবিবার (৭ জানুয়ারি) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে চতুর্থবারের মতো উত্তর গাজায় আল-আওদা হাসপাতাল ও কেন্দ্রীয় ওষুধ সরবরাহ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় জরুরি ওষুধ সরবরাহ বাতিল করতে হলো।
দখলকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে অবস্থানরত ডব্লিউএইচওর কার্যালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) বলে, ‘আমরা শেষবার উত্তর গাজায় পৌঁছাতে পেরেছি ১২ দিন হয়ে গেছে।
‘ভারী বোমা বর্ষণ, চলাচলে সীমাবদ্ধতা এবং যোগাযোগে বিঘ্নের কারণে গাজায়, বিশেষ করে উত্তর গাজায় নিয়মিত ও নিরাপদে ওষুধ সরবরাহ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।’
ডব্লিউএইচও বলছে, গতকাল গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের পাঁচ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চালিয়ে নেওয়ার মতো ওষুধ সরবরাহের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
ডব্লিউএইচওর পরিচালক জেনারেল তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, তিনি উত্তর গাজায় চিকিৎসাসেবার প্রয়োজনীয়তা ও ধ্বংসলীলা দেখে হতভম্ব।
এক্স প্ল্যাটফর্মে তিনি বলেন, ‘ওষুধ সরবরাহে আরও বিলম্ব হলে মৃত্যু ও মানুষের ভোগান্তির পরিমাণ বাড়বে।’
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) বলছে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডের জন্য গাজার মধ্যাঞ্চলে আল-আকসা হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসাসেবা দল ও মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টিনিয়ান চ্যারিটির কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস বাহিনীর হামলা চালানোর পর থেকেই গাজায় বর্বরোচিত হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে গাজার ২৩ লাখ জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই বাস্তুচ্যুত হয়, বহু আবাসিক ভবন ও অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গাজায় খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।