হামাসের অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫০ AM , আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫০ AM

দীর্ঘদিন ধরে নিজেরাই অত্যাধুনিক মার্কিন সমরাস্ত্র নকল করে হুবহু একই অস্ত্র তৈরি করে আসছে হামাস। গাজায় এসব অস্ত্র তৈরির গোপন কারখানার সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আইডিএফ। এমনকি এই কারখানায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, রকেটসহ নানা অস্ত্র বানানোর অভিযোগও করেছে তেলআবিব। এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া হামাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্রকারাখানা এটি বলে দাবি করেছে দেশটি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কয়েকদিন ধরে চলা ইসরায়েলি তাণ্ডবে গাজার আল বেরুজি এলাকা এখন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। এই আল বেরুজিতেই হামাসের বিশাল এক আন্ডারগ্রাউন্ড অস্ত্র তৈরির কারখানা পাওয়ার দাবি করেছে আইডিএফ।
তেলআবিব বলছে, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া হামাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্রকারখানা এটি। আইডিএফের দাবি, নিজস্ব প্রযুক্তিতে অস্ত্র তৈরির পাশাপাশি অত্যাধুনিক মার্কিন মর্টার শেলের হুবহু কপিও তৈরি করা হতো এখানে।
এমনকি, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরপাল্লার রকেট ও মিসাইলও তৈরি করা হতো এই কারখানায়। এটির সাথে যুক্ত রয়েছে বেশকয়েকটি টানেল। যা দিয়ে হামলা চালানোর জন্য হামাস যোদ্ধাদের কাছে সরবরাহ করা হতো সমরাস্ত্র।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, এই কারখানায় হামাসের সদস্যরা লোহা দিয়ে রকেট, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতো। পরে টানেলের মাধ্যমে রকেটগুলো হামলায় ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। এসব অস্ত্র পাঠানোর জন্য রয়েছে যানবাহন ও লিফট।
আইডিএফের অভিযোগ, সহায়তা হিসেবে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের জন্য পাঠানো সার, লোহা, সিমেন্টের মতো উপাদান অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে হামাস। হামলা এড়াতে বেসামরিকদের বাড়িঘরের নিচে বানানো হয়েছে এসব কারখানা।
অবশ্য হামাস এই কারখানা ইস্যুতে ইসরায়েলের করা অভিযোগের জবাবে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।