উড়ন্ত ট্যাক্সিতে হাজীদের মক্কায় পরিবহন করবে সৌদি আরব

সৌদি আরব
উড়ন্ত গাড়ি   © সংগৃহীত

লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত শহর জেদ্দা এবং ইসলামের পবিত্রতম স্থান মক্কায় হাজিদের পরিবহনের জন্য উড়ন্ত ট্যাক্সি বা এয়ার ট্যাক্সি চালুর পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের কাছে পবিত্রতম স্থান গ্র্যান্ড মসজিদে ওমরাহ পালনকারীদের যাতায়াত সহজ করার জন্য বিমান পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানান এক সৌদি কর্মকর্তা। 

গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে গালফ নিউজ। এছাড়া  এক প্রতিবেদনে খবরটি জানান হয়েছে। এছারা ইন্টারন্যাশনাল শিয়া নিউজ এজেন্সি ও এমএম নিউজের প্রতিবেদনেও অনুরূপ তথ্য জানানো হয়।

এই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে ১০০টি লিলিয়াম জেট কেনার চুক্তি করেছে সৌদি আরবের এয়ারলাইনস সাউদিয়া। জার্মান ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেকঅফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটিওএল) বিমান কিনবে সংস্থাটি।

সাউদিয়া গ্রুপের করপোরেট কমিউনিকেশনের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল শাহরানি সৌদি সংবাদমাধ্যম আখবার ২৪ কে বলেন, জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে গ্র্যান্ড মসজিদের কাছে মক্কা হোটেল ও অন্যান্য পবিত্র স্থানগুলোর মধ্যে ওমরাহ পালনকারীদের যাতায়াত মসৃণ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইভিটিওএল এয়ার ট্যাক্সি সর্বোচ্চ ছয়জন যাত্রী বহন করতে পারবে।

এ ধরনের এয়ার ট্যাক্সি চালানোর অনুমতি পাওয়ার জন্য দেশের আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সৌদি এয়ারলাইনস কাজ করছে বলে জানান আল শাহরানি। চলতি মৌসুমে ওমরাহ কিংবা অন্যান্য তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে হজ যাত্রীদের পরিবহনের ক্ষেত্রেও গুণগত মানের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

২০২৬ সালে সৌদি আরবে চলবে বৈদ্যুতিক উড়ন্ত ট্যাক্সি২০২৬ সালে সৌদি আরবে চলবে বৈদ্যুতিক উড়ন্ত ট্যাক্সি
পরিষেবাটি কবে থেকে চালু হবে সে ব্যাপারে কিছু জানাননি আল শাহরানি। তিনি কেবল বলেছেন, এ ধরনের বিমান সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হবে।

বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০ লাখ মুসলিম গত বছর হজ পালন করতে সৌদি আরবে এসেছিলেন। সার্বিক পরিস্থিতি করোনা মহামারির আগের সময়ে ফিরে গেছে বলে সাক্ষ্য দিচ্ছে এই পরিসংখ্যান। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়া এ সপ্তাহের শুরুতে বলেন, গত বছর ওমরাহ তীর্থযাত্রীর সংখ্যা রেকর্ড ১.৩৫ কোটিতে পৌঁছেছে।

ইসলামের জন্মস্থান সৌদি আরব সম্প্রতি ওমরাহ পালনের জন্য দেশটিতে আসতে ইচ্ছুক মুসলিমদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে। ভিসাধারী ব্যক্তিদের স্থল, নৌ ও বিমান—সব পথেই সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরব তার নাগরিকদের এই সুবিধাও দিয়েছে যে, বিদেশে অবস্থানকারী বন্ধুদের সৌদি আরবে ভ্রমণ এবং ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানানোর আবেদন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের। নারী তীর্থযাত্রীদের আর পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

সৌদি আরব আরও বলেছে যে, গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে বসবাসকারী প্রবাসীরা তাদের পেশা নির্বিশেষে পর্যটক ভিসার জন্য আবেদন এবং ওমরাহ পালন করতে সক্ষম হবেন।


মন্তব্য