চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে তুষারধস; আটকা ১০০০ পর্যটক

চীন
  © বিএনএন

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াং। সেখানে প্রবল তুষারধসের কারণে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে আটকা পড়েছেন প্রায় ১ হাজার পর্যটক। 

আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

কাজাখস্তান, রাশিয়া এবং মঙ্গোলিয়ার সীমান্তে অবস্থিত চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ। সেখানকার সীমান্তবর্তী হেমু গ্রামে ছুটি কাটাতে যান পর্যটকেরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে গ্রামটিতে সারা বছরই চীনের বিভিন্ন অঞ্চল ও এই তিন দেশ থেকে আগত পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। 

সিসিটিভি জানায়, হেমু এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে কয়েক ফুট পর্যন্ত পর্যন্ত তুষার জমেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে টানা তুষারপাত ও ধসের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অঞ্চলটি। সড়কে জমে থাকা তুষারের পরিমাণ এত বেশি যে শিগগিরই সেগুলো পরিষ্কার করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।

চীনা সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন পর্যটককে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও আটকা পড়ে আছেন প্রায় ১ হাজার পর্যটক।

হেমু গ্রামটি আলতাই পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত। জিনজিয়াংয়ের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত কয়েকদিনে অবিরাম তুষারপাত হয়েছে পর্বতমালার বিভিন্ন এলাকায়। এর জেরে রোববার থেকে শুরু হয়েছে তুষারধস।

সড়ক থেকে তুষার পরিষ্কার করতে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। তবে ধসের কারণে তুষারের সঙ্গে  গাছের ডালপালা ও পাথর মিশে যাওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে সড়ক পরিষ্কারের কাজ।

হেমু গ্রামে এখনও ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি জ্বালানির সরবরাহ পাঠানোও এখন কঠিন। চীনের সামরিক বাহিনীর কয়েকটি হেলিকপ্টার গ্রামটিতে ময়দা ও জ্বালানি সরবরাহ করছে বলে জানা গেছে।