জাতিসংঘের চাল রপ্তানি দরপত্রে অংশ নিতে ভরতের ওপর বিধিনিষেধ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪০ PM , আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩০ PM

বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ চাল রপ্তানি করে থাকে ভারত। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নিজেদের উৎপাদিত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি। এজন্য জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) চাল সংগ্রহের দরপত্রে অংশ নিতে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) চাল সংগ্রহের দরপত্রে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না ভারতীয় চাল রপ্তানিকারকরা।
মূলত অভ্যন্তরীণ মজুত ধরে রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভারত কয়েক দফায় বিভিন্ন প্রকার চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ভারতের এ সিদ্ধান্তের জেরে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডা বিভিন্ন সময় ভারতের সমালোচনা করেছে। পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ হওয়ায় ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বেকায়দায় পরেছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ।
গত বছরের অক্টোবরে ডব্লিউএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রতি ৪ জনের একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় আছে। এর মধ্যে ভারতের চাল রপ্তানির ঘোষণা বাংলাদেশকে আরও বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। এর ফলে দেশের চালের বাজারের পাশাপাশি অন্যান্য সব পণ্যের ওপর এর প্রভাব পড়েছে।
ভারতের চালের প্রধান ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে চীন, ফিলিপিন্স, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো। এসব দেশ ভারতের ‘সুইং ক্রেতা,’ অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিলে এই দেশগুলো ভারত থেকে চাল সংগ্রহ করে।
মূলত মাল্টিস্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটিস (এমএসসিএস) অ্যাক্টের অধীনে ভারত সরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু বন্ধু রাষ্ট্রে চাল রপ্তানি করছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে- সেনেগাল, গাম্বিয়া, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও ইরান।
ডব্লিউএফপি মূলত বিশ্বে ক্ষুধা বা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা অঞ্চলগুলোতে বিতরণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চাল সংগ্রহ করে। এর আগে ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, ভারতের চাল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটি থেকে চাল সংগ্রহ করতে পারবে না।
২০২২ সালে ভারত বিশ্বের ১৪০টি দেশে ২.২ কোটি মেট্রিক টন চাল রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে ছয় লাখ টন ছিল অপেক্ষাকৃত সস্তা ইন্ডিকা সাদা চাল। সেই ইন্ডিকা চালের রপ্তানি ভারত এখন বন্ধ করে দিয়েছে। গত বছর ভাঙ্গা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাসমতি নয় এমন চালের রপ্তানির ওপর ২০% শুল্ক আরোপের পর এবার এই ঘোষণা এলো। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়ে-অলিভিয়ে গুগাঞ্চা মনে করেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞার ফলে চালের দাম এখন আরও বাড়বে।