৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা জরুরি ছিল, তবে ভুলও হয়েছে: হামাস

হামাস
  © ফাইল ছবি

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এবার এ হামলা নিয়ে এবার ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তাতে গত ৭ অক্টোবরের হামলাকে ‘জরুরি পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে তারা। তবে এই হামলায় কিছু ভুল হয়েছে বলেও স্বীকার করে হামাস।

আজ রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার জবাবে ওইদিন থেকেই গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। এই হামলায় এ পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। 

এর মধ্যেই রোববার ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে তারা দাবি করে, গত ৭ অক্টোবরের হামলা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে ‘জরুরি পদক্ষেপ’ ছিল।

১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে হামাস বলছে, ‘কিছু ত্রুটি হয়েছে... ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থার দ্রুত পতন এবং গাজার সীমান্ত এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে।’    

এর মধ্য দিয়ে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা নিয়ে এই প্রথম জনসম্মুখে প্রতিবেদন প্রকাশ করল হামাস। প্রতিবেদন লেখা হয় ইংরেজি ও আরবি ভাষায়। ইসরায়েলে হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ মারা যাওয়ার পক্ষে এতে যুক্তি দেওয়া হয়। 
 
হামাস বলছে, ‘গাজায় সব ধরনের ইসরায়েলি আগ্রাসন, অপরাধ ও হত্যাকাণ্ড দ্রুত বন্ধ করতে হবে ইসরায়েলকে। ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ কি হবে তা তাদের নির্ধারণ করার যোগ্যতা আছে। বিশ্বের অন্য কারও এই অধিকার নেই।’ 

প্রসঙ্গত, গাজায় ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলার পর সেখানে শতাব্দীর সবচেয়ে অমানবিক হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলায় ২৫ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬১ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি। 

হামলায় ফিলিস্তিনের প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়িঘর ধংস হয়ে গেছে। এছাড়া সেখানে প্রতি ঘণ্টায় ২ জন মা নিহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।